অসি চালনা, ট্র্যাপিজ, শরীর চর্চা কিংবা লাঠি খেলা,
অলস জীবন যাপন না করে, কিছু সচেতন বাঙালি
তাই আয়োজন করেছিলেন এসব নিয়ে এক মেলা।
নবগোপাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাঠাকুর,
আঠারশো সাতষট্টিতে শুরু করেছিলেন এই মেলার।


এভাবেই সৃষ্টি হয়েছিলো ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ।
রচনা ও পাঠ হতো দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা,
বসতো বাঙালি ও পাঞ্জাবি ছাত্রদের কুস্তির আসর।
রাজা কমলকৃষ্ণ, গণেন্দ্র নাথ ঠাকুর, দুর্গাচরণ লাহা,
কাশীশ্বর মিত্র, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, প্যারীচরণ সরকার।


পন্ডিত জয়নারায়ন তর্কপঞ্চানন,দ্বিজেন্দ্র নাথ ঠাকুর,
পন্ডিত ভারতচন্দ্র শিরোমণি,তারানাথ তর্কবাচস্পতি, তখনকার দিনে এ ব্যাপারে ছিলো অনেকেরই সুমতি।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ব্যাপারটা বেশ ভালো মনে হয়,
রবীন্দ্রনাথের বয়েস তখন ছিলো মোটে বছর ছয়।


নবগোপাল মিত্রের বাড়িতে হয় জিমন্যাস্টিক স্কুল,
ন্যাশনাল জিমন্যাশিয়াম নামে তা হয় পরিচিত।
প্রশিক্ষণ পেয়ে প্রফেসর, শরীর শিক্ষার কোচ যত,
গভর্নর জেনারেল জর্জ ক্যাম্পবেলের নীতির কারণে,
পড়ার সাথে শরীরশিক্ষাও লোকে নিয়েছিল মেনে।।


স্বামী বিবেকানন্দ কিছুদিন ন্যাশনাল জিমন্যাশিয়ামে,
নিয়মিত যেতেন যোগ ব্যায়াম শেখার কারণে ।
বুঝেছিলেন অনেকেই মানুষের শরীর যে এক মন্দির,
পূজো মনে করে যদি ব্যায়াম করা যায় তাহলেই,
ধীরে ধীরে হয় তা হয়ে ওঠে সুস্থ ও সুন্দর অবশ্যই।