একদল সৈন্য সাঁজোয়া গাড়িতে যুদ্ধে চলেছে,
মাঝে মাঝেই যেন বুট জুতোর খট খট শব্দ হচ্ছে।
কবিতার খাতা নাকি যুদ্ধের ময়দান বোঝা মুশকিল ,
কলম ছাড়া অক্ষর সৈন্যরা যেন নিধিরাম সর্দার !
এখানে, এই সাহিত্য জগতে যুদ্ধের মহড়া চালাচ্ছে ।


অদৃশ্য শক্তির অঙ্গুলি হেলনে, থরহরিকম্প সবাই !
কবিগান বাঁধতেন আগে যারা,করেছেন কবির লড়াই,
যিনিই হেরেছেন, দিয়েছেন তো শুধুই ভাগ্যের দোহাই,
কবিগান কমে আসলেও মনে রেখেছে তা অনেকেই।
এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, ভোলা ময়রার নাম জানি এভাবেই!


কবিতা কি কোনো নেতিয়ে পড়া লতা, যে সর্বদাই___ কোথাও হেলে থাকবে, কাউকে জড়িয়ে ধরবে ?
শুধুই নিস্বার্থ ভাবে সারাজীবন ভালোবেসে যাবে  !
আর সেসব কবিতা পড়ে, কারো চোখের জল পড়বে,
কেউ বা কেঁদে বুক ভাসাবে, নিজেও তেমন লিখবে ?


সময়ের সাথে সাথে যুগে যুগে যখন সব পাল্টাচ্ছে,
তখন কবিতা কেন নয়, কার কোন ক্ষতি সে করেছে !
মানুষ তো একদা মুখে মুখেই কবিতা সৃষ্টি করেছে,
বেদের শ্লোক মনে রেখে, তাকে "শ্রুতি" নাম দিয়েছে।
রামায়ন, মহাভারতের গল্পও কবিতায় লেখা হয়েছে !


তাই আজ মেসোপটেমিয়া, চীন বা মিশরের ইতিহাস,
কবিতার আশ্রয়ে, কথা বলে, স্বচ্ছন্দে ফেলে শ্বাস।
হাতের মুঠোয় ভূগোলের - পৃথিবীর মানচিত্রের ছবি ,
নানা এ্যাপের সাহায্য চাইলেই পেয়ে যায় তরুণ কবি।
মান উন্নয়ন হলে, তা দেখেও নিশ্চয়ই খুশী হন রবি।


লেখার সময় কবিতা থাকে শুধু ভাবনায় এক কবির,
কিন্তু লেখা হয়ে গেলে, তা পড়ার অধিকার সকলের।
প্রশ্ন একটাই, আজকাল কবিতা পছন্দ কতজনের !
লেখা হয় রোজ রোজ, যেন বাড়ছে কবিতার সংসার।
কিন্তু বেশীরভাগই মনে হয় যেন, একেবারে অসার।


মজার কথা, কবিরা যেন আজ হয়েছে নার্সিসাস,
নিজের লেখায় নিজে বিভোর, না লিখলেই হাঁসফাঁস।
কবিতা যে আজ মন থেকেই স্বাবলম্বী হতে চেয়েছে,
এটাই বড় কথা, চাই না তার কোনোরকম ওয়াকার।
শুধু মনে বাসনা,সোজা হয়ে যেন হাঁটতে পারে এবার!