কাউকে বলিনি ,
কয়েকটা গোপন অ-সুখ ছিল ।
দু-একটা পুশিদা বিষাদ --
বালিশের তলায় থাকতো ।
এছাড়া আমার অন্য কোনো অসুখ ছিলনা --
শারীরিক --রোগ যাকে বলে ।
কেবল , সেবার যখন খুশির আয়লা এলো
ঝড়েতে খড়ের চাল উড়ে গেল তোমার ঘরের
তুমি বললে , শিরস্ত্রাণ চাই -সুখ কিনে দাও ।
সুখ যে কিনতে গেলে দাম দিতে হয়
ততদিনে সে কথা বুঝেছি !!
কুসীদখোরের দোরে
হাতদুটি পাতলেই হোলো ?
মনপ্পুরমের মত সদাশয়
স্বর্ণঋণ দেয় না সকলে --
এমন কি দয়ালু ঈশ্বর ও !।
কাজেই রাখতে হোলো
গচ্ছিত বিষাদ গুলি
তত্তাবৎ -ই !
আসলে যে তোমার সকাশে সুখ সমুদয়
আগের থেকেই বন্ধকী তমসুক !!
অ-সুখ ? - সে তো থাকবে ;
--থাকুক !!
গায়ে আঁচ লাগেনি তোমার !
তুমি তো টের ই পেলেনা
হে বালিশা বালিকা !
কোনোদিন জিগ্যেস ও করনি
রোজ রোজ কেন রাত্রিবেলা
মাথার বালিশ ভিজে যায় !
শুধু সুখ পেতে জানো !!
মৃত দুঃখদের অতৃপ্ত আত্মারা শান্তি পাবে বলে
' তিলাঞ্জলি দিলুঁ কুললাজে '
তুমি জানলেই না
' কত ব্যথা নিয়ে থাকি ' ।