ভাগ্যে ছিলেন মন্ত্রী সহায় , মহালয়ায় কাটেন ফিতে ।
মুখখানা তোর দেখতে পেলাম , ফাঁকায় ফাঁকায়একটু ফ্রিতে !
দেখতে পেলাম বছর পরে, দেখতে পেলাম একটুখানি
কেমনটি আজ ডাগর ডোগর শিবঘরণী চাঁদবদনী !
তুই এসেছিস্ ছেলের বাড়ি , বড় ছেলের অনেক টাকা !
দিয়েছে সে সোনার শাড়ি , লকারে তোর গয়না রাখা ।
আজ পরে নে এসব এখন , ছেলে জানে তার ই রবে !!
দশমীটা কাটিয়ে দিলে পরনে ফের গামছা হবে ।
দুগ্ধ চোষে সুপুত্রটি ! আর বাকিরা ছাগল ছানা !!
সবাই তো আর পায়না খেতে , নাচতে তো আর নাইকো মানা !
প্রতিবারেই কাদম্বিনী আকাশ যেন ছিঁচ্-কাঁদুনী !!
বাইরে দ্যাখো পর-ভোলানি , আসলে তো ঘর-জ্বালানি !!
নীল গোলে সে শরৎ এলে স্বভাব তবু জল-ঘোলানি !
হিংসেমি তার রক্তে আছে ভক্তে করে কী হয়রানি !!
সপ্তমীতে সন্ধে হতেই ,ভ্যাঁ করে তার কান্না শুরু !
চাপড়ালে পিঠ , থামবে না সে , এমনিতে তার চামড়া পুরু !!
বায়না ধরে, সঙ্গে যাবে । রাস্তা কেঁদে ভিজিয়ে দিল ।
তোমরা বলো , ওর কী এমন কান্নাকাটি উচিত হোলো ?
ভাগ্যে সেদিন মহালয়ায় মেয়ের আগাম বোধন হলো ,
ভাসান ও তো দুদিন পরে , সময় দু তিন বাড়তি পেল !
না হয় এবার হয়নি দেখা বোষ্টমীকে অষ্টমীতে !
ভাগ্যে ছিলেন মন্ত্রী সহায় ,মহালয়ায় কাটেন ফিতে ।