ব্যবচ্ছেদ করতেই বোঝা গেল
শবটা কবির।
বুকে ছিল অসংখ্য আঘাতের দাগ -
কোনো ভারি অ-বস্তুর
নিরন্তর প্রহার
প্রখর।
গলায় ও দেখা গেল
আঙুলের ছাপ --
কিংবা পুরোনো শাড়ির পাড়
নলি চেপে বসে গিয়েছিল --
হয়তো , লাশের মুখে
গুঁজে দেওয়া হয়েছিল
ছেঁড়া পাতা পাণ্ডুলিপির -।
অর্থাৎ স্পষ্টই বোঝা যায়
কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল ।।
বিশেষজ্ঞ বললেন ,
স্রেফ আত্ম হনন --!!
অথচ , জীবদ্দশায় লোকটার , যাঁহাতক জানি ,
যাপনে সাচ্ছ্বল্য ছিল ;
হাসি তার দন্তুর দেখি নি ।
তাছাড়া , ধারে কাছে সেই অর্থে
পাওয়া গেল না কোনো সুই সাইড নোট
কেবল ডায়েরীর কয়েকটা পাতায়
রক্তের ছিটে লেগে ছিল।