সাত সকালে গাইছে বেহাগ
সরস্বতীর পুত্র !
সাগরেদ তার পিসতুতো ভাই
সুরের ধরে সূত্র !
তানপুরাতে কাজ হবে না
সানাই সেতার চাই !
পিসতুতো ভাই পোঁ ধরেছে
গায় মামাতো ভাই !!
আমড়া তলায় বেকার ছিল
ডাক পড়লো তাকে
সেই থেকে সে কলকাতাতে
দাদার কাছেই থাকে ;
ফাই- ফরমাস খাটে এবং
দাদার ধরে ' পোঁ ' ।
বৌদি ' বলেন, -- '' চা দিয়েছি !! "
( দাদা বলেন )
-- " ঐখানেতে থো,
এই যে পেলাম ন'টার সময় ,
এতেই আমি ধন্য !
সেই তো আবার সাধতে হবে
আরেক কাপের জন্য !
সুরকে সাধা, তোমায় সাধা
দুটো তো নয় ভিন্ন !
বৃথাই কেন চটাই তোমায়,
আঁকি রাগের চিহ্ণ !! "
( বৌদি বলেন ,)
--" সাইরেনেতে ন'টা বাজে
অফিস যাওয়ার ভোঁ !
রেহাই তোমার সানাইটাকে
দাও না , ঠাকুর-পো !
এখন বুঝি , অফিস যাওয়ার
নেইকো তোমার তাড়া ?
বাজার যেতেই মুখটি ব্যাজার--
দাদার থেকে বাড়া !! "
ঠাকুর-পো ও দাদার মতই
চুলকাইয়া মাথা
--" আজকে বারিস ! অফিস ছুটি
পেটটাতেও ব্যথা !"
দাদা দ্যাখেন, গিন্নিটি তার
ভীষণ গেছে রেগে
দৃশ্যতঃ তাঁর পড়ছে চোখে
চলাফেরার বেগে !
(বললেন , )
-- '' আসছে পুজো ! ঢাকেশ্বরী
যাবে তো নিশ্চয় ?
কেবল বাজেট পেরিয়ে যাবে
এইটুকু যা ভয় !!"
(বৌদি বলেন ,)
-- " আমায় কিছু দেওয়ার বেলায়
জল গলে না হাতে !!
চব্য-চোষ্যো রাঁধিয়ে নাও
মুড়োটি চাই পাতে !
ভাবো বুঝি , এমনিতে হয় !
ঢোকো না হেঁসেলে !!
কাজের লোক ও মাইনে টা পায়
বদলে মাস গেলে !
আমায় তুমি সত্যি বলো ,
দিয়েছো আর কি !
ভাবছো টা কি , সংসারেতে
আমি কাজের ঝি ? "
দাদা বলেন ," কী যে বলো ,
দিয়েছি মর্যাদা !
খাওয়াই পরাই , ওষুধ -দাওয়াই
আর রেখেছি ওয়াদা !
তোমার হৃদয় , আমার হৃদয়
এক ফ্রেমেতে ছবি !!
সব চেয়ে যে জিনিস দি'ছি
আমার ই পদবী !!"