শরতের কাণ্ডটা দেখলি , বুবুন !!
শির শিরে হাওয়াটা কেমন
পঞ্জিকার পাতাগুলো কতটুকু সময়েই
গুনে দেখে নিল --
যেমন দেখিসনি , ব্যাঙ্কের ঐ ক্যাশিয়ার
গুনে দ্যাখে গোছা গোছা নোট
নতুন পুরোনো মেশানো
বৈদ্যুতিন গোনার মেশিনে ।
ভাবি , দিনগুলো এতো তাড়াতাড়ি
কি করে যে গোনা শেষ হোলো !
এতো তাড়াতাড়ি
কি করে ফুরিয়ে গেল ধিতাং-এর পুজোর ছুটি টা !
পড়ে থাকা সব কাজ সে ই জমে যায় !
তবু ও, গজায় নতুন কবিতা
আগাছার মত অলস মাথায়
খাতার পাতায়,
ব্যস্ত চলার পথে-
ভালো জানি ,
সে সব যে পথিকেরা পা দিয়ে মাড়াবে ।
তবু ও ভাইয়া মামু--যাকে জানি
এই সময়ে্র খেলার কলামে লেখে
সে ও কোন ফাঁকে
পদ্যের মাঠে ঢুকে
দিব্যি দেখি, কলমের ব্যাটে
ছক্কা হাঁকায় !!
অবসরিকার নিত্য বসা বৈঠকী আড্ডায়
শরতের হাওয়া ঢুকে পড়ে ,
প্রবীণ সদস্য সহাস্যে বলে,
আজকাল পুজোসংখ্যায়
কবিতা যা-সব লেখে ছেলে ছোকরারা
তেমন খারাপ কিছু না !
তাঁর ও হাতে উঠে আসে
সাদা পাতা কালি ও কলম !!