মনে পড়ে ছেলে বেলায়
মাদুর পেতে সন্ধে বেলায়
পড়ার নামে ঢুলতে বসা ।
গাঁয়ে তখন কোথায় ছিলো
ঝক ঝকে এই বিজলি বাতি !
ডাকতো শেয়াল বন বাদাড়ে
গা ছম ছম ডাকতো নিশি
হাস্নু হানার গন্ধে নাকি
লতা ও আসে ,তারা ও আসে
ভর সন্ধ্যায় নাম ধরেনা ।
পড়তে পড়া উল্টোতে হয়
বইএর পাতা লাগিয়ে থুথু
জ্যাঠার আবার পছন্দ নয়
গাঁট্টা ছিল নিত্যি বাঁধা !
ভ্যাঁ করে যেই কাঁদতে শুরু
অমনি দিদির কাতুকুতু !
বলতো জ্যাঠা সোঁদর বনের
ছিঁচকে কেঁদো বাঘের নাতি ।
কথায় কথায় কাঁদতে বসে
এক্কেবারে ছিঁচ কাঁদুনি !
পুঁথির পাতায় লাগাস থুথু
কেমন ধারা বল দিকিনি ?
সত্তর আজ উমর হোলো
সে কথা কি ভুলতে পারি ?
বাজেট পড়েন জেটলি অরুণ
করছে যা তা ,না হয় করুন
কিন্তু তিনি সামনে সবার
জিভের থুথু পাতায় লাগান !!
জ্যাঠার এটা পছন্দ নয় ,
উপর থেকে হয়তো বা কয়
বিদ্যা দেবীর খাতার পাতায়
বাজেট বুঝি অশুদ্ধ হয় !
হতেই পারে অর্থনীতি র
বাক্যি তেনার মুখেই ছোটে
হতেই পারে তিনি নাকি
রাজনীতিতে ভীষণ পটু
তবুও তো মানতে হবে
করলেন যা , দৃষ্টি কটু !!
থুক লাগানো এঁটো বাজেট
হাত দিয়ে বুক বলুন দিকি
ক্যামনে লাগাই দেওতায় ভোগ?
আমারো কি ছুঁচি বাইএর
ধরেছে আজ জ্যাঠার ই রোগ ??