আমি কখনো বৃষ্টি দেখিনি


কাঁচের ফাটল দিয়ে ঝরে পড়া
অসংখ্য চোখের কান্না


ধানক্ষেতে ঢেউ খেলে উঠেছে
মৃদু, স্বচ্ছ নিশ্বাসের মতো।


মাটির বুকে ফুটে উঠেছে সবুজ হাসি,
কিন্তু আমি দেখিনি এই বিশ্বময় আনন্দধারা।


শুধু শুনেছি


আকাশের কান্না, দূরের কোনো অজানা মঞ্চে।
মেঘেরা নিয়ে এসেছে অসংখ্য গান,
কিন্তু আমার কাছে পৌঁছায় না কোনো সুর।


এই শহরে বৃষ্টি নামে না,
শুধু গল্পে, কবিতায়।


মানুষেরা ছাতা খুলে বেড়ায়


কিন্তু আমার মাথার নেই কোনো আশ্রয়।


এই শহরে বৃষ্টি নেই,
শুধু আছে ধূসর আকাশের অসমাপ্ত চিঠি।


মাটি ফেটে যায়


তৃষ্ণায় কাতর হয়ে,
কিন্তু বৃষ্টির স্পর্শ পায় না।


মানুষেরা বলে, "বৃষ্টি হবে।"


কিন্তু কেউ জানে না কখন, কোথায়।


আমি অপেক্ষায় থাকি


এই শুষ্ক বাতাসের বুকে,
এক অজানা দিনের জন্য।


এই শহরে বৃষ্টি নেই


শুধু আছে কবিদের কল্পনার রঙিন ছায়া।


তারা লেখে, "বৃষ্টি নেমেছে।"


কিন্তু আমি দেখি না কোনো ভেজা পাতা।


তারা লেখে, "বৃষ্টির গান।"


কিন্তু আমি শুনি না কোনো ধ্বনি।


আমি শুধু খুঁজি


এই শুষ্ক চোখে,
এক ফোঁটা বৃষ্টির স্পর্শ।


এই শহরে বৃষ্টি নেই


শুধু আছে মানুষের বুকে ঢাকা
অসংখ্য প্রশ্ন।


"বৃষ্টি কী?" "কেন নেই?" "কখন আসবে?"


প্রতিধ্বনি ঘুরে বেড়ায় বাতাসে।
আমিও জানি না


এই রহস্যের কোনো উত্তর।


শুধু শুনি


দূরের কোথাও,
বৃষ্টির গান, অবিরাম, অস্পষ্ট।


কিন্তু আমি


বৃষ্টির স্পর্শ কখন পাব?
কখন ভিজবে এই শুষ্ক মাটি?
কখন ধুয়ে যাবে এই ধূসর আকাশের চিঠি?


বৃষ্টি! বৃষ্টি!


আমার বুকে নামো, আমার মাটিতে নামো,
এই শুষ্ক চোখে, এই তৃষ্ণার্ত অস্তিত্বে,
নামো, নামো, নামো!