হতাশায় ডুব সাঁতার শেষে
অগ্নি মন্ত্রে দীক্ষায়িত হয়ে;
গোলাবারুদে অবগাহন শেষ করে,
রুদ্রমূর্তি রূপে আবির্ভূত হলাম।
দুষ্ট চক্রের বিনাশ হেতু ;
নিজ দেহের আত্মাহুতি জেনেও,
এই কালকূট পান করলাম।
আলো প্রজ্জ্বলিত করবো বলে
অমাবস্যার কালো দূর করতেই ;
কপালে তিলক এঁকে নিয়ে
খঞ্জর হিসেবে কলম তুলে,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হেতু
বর্ণমালা গুলো সাজিয়ে নিয়ে
দুষ্ট চক্রের মৃত্যু ফাঁদ রচলাম।
দাসত্ব বন্দিত্ব বধ করতেই
প্রথা ভেঙে বিদ্রোহীর বেশে,
উচ্চশিরে নিজের আত্মপ্রকাশ করলাম।
রণডঙ্কা বাজিয়ে দূর্নীতির বিরুদ্ধে
আমরণ রণ ঘোষণা দিলাম।
অনুজদের আলোর পথে চলার
এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনে;
একহাতে কালকূট অন্যহাতে খঞ্জর
নিয়ে আধার সেঁচে আলো কুড়োলাম।
আলো-আঁধারিতে কলম যুদ্ধ শেষে,
শতাব্দীর মহা পরিবর্তনে কালকূটকেই
আমি নিজ বিবেকে ভালবাসলাম।