দেশে দেশে মৃত্যুর মিছিল।
রক্তে ভিজেছে অসংখ্য দেশের মাটি।
সন্ত্রাসবাদকে পৃথিবী থেকে নির্মুল করতে।
মারণ যজ্ঞে মেতে উঠেছে-
সভ্য সমাজের সভ্য মানুষ।
মুখে গণতন্ত্রের বানি।
অন্তরে সাম্রাজ্যবাদের বাসনা।
যে কোন ভাবে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য।
একদিকে নিজের উৎপাদিত সামগ্রির বাজার তৈরি।
অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানির পাকাপোক্ত ব্যবস্থা।
দোহাই সন্ত্রাসবাদের।
সন্ত্রাসবাদকে পৃথিবী থেকে নির্মুল করতে হবে।
সন্ত্রাসবাদকে নির্মুল করতে হাজার হাজার
মানুষ হয়েছে গৃহহারা!
স্বজনহারা! সর্বস্যহারা!
কেউ হারিয়েছে বাবা ও মাকে।
কেউ হারিয়েছে তার স্বামী।
কোনও মাকে আবার লাল টুকটুকে বেনারসি ছেড়ে-
পরতে হচ্ছে বিঁধবার বস্ত্র।
কেউ বা হয়েছে এক অনাথ পথ শিশু।
যাদের সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে কোনও ধারণায় নেই।
এক ফুটন্ত কুঁড়ি যে সম্পুর্ন ফুল হয়ে ফোঁটার আগেই-
নাগিনীর বিষাক্ত বাতাসে ঝরে পড়ছে পৃথিবীর বুকে।
পাশ্চাত্যের ক্ষুধার অনলে জ্বলে পুড়ে ছাই হচ্ছে-
উপসাগরীয় এলাকা থেকে মধ্য প্রাচ্যের
একাধিক দেশ।
যাদের অপরাধ তরল সোনার অধিকারী হওয়া।
সব তারই দয়ায়!
যার কাঁধের উপর গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়।
মনে আছে তরল সোনা আত্মসাৎ এর প্রবৃত্তি।
মনের সুপ্ত বাসনাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে গিয়ে –
শুরু হয়েছে  প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দাদাগিরি।
কোথাও প্রতারণার জাল ছড়িয়ে তৈরি হয়েছে পুতুল সরকার
যারা কিনা মেরুদণ্ডহীন কাপুরুষ।
রাজকীয় বেশে বসেছে রাজ সিংহাসনে।
যাদের মুখে “তোতা পাখীর” বুলি-
“কত্তা যা বলছেন সেটাই ঠিক”!
আধুনিক সভ্যতা বিকশিত হয়েছে।
আবিষ্কৃত হয়নি প্রকৃত সন্ত্রাসবাদীকে বুলেট বিদ্ধ করার হাতিয়ার।
আবিষ্কৃত হয়নি প্রকৃত সন্ত্রাসবাদীকে চিহ্নিত করার আধুনিক যন্ত্র।
যার কোপে ভূতলে লুটিয়ে পড়ছে নিরীহ নিরাপরাধ মানুষ।
কারোর বলার সাহস নেই।
ওরে ভণ্ড প্রতারক আর কতদিন ভদ্রতার নামাবলী পরে
পৃথিবীকে মেকি স্বপ্ন দেখাবি ?
আর কতদিন রক্তে রাঙ্গাবি ধরিত্রীকে ?
আর কত মায়ের বুক খালি করবি ?
আর কত দেশকে করবি ধূলিসাৎ ?
কবে তোর যুদ্ধাস্ত্র,
শান্তির ধারা হয়ে বর্ষিত হবে পৃথিবীর বুকে ?
কবে সোনা যাবে তোর বিবেকের আর্তনাদ ?
কবে অশোকের সুমতির উদয় হবে তোর মনে ?
কবে তোর শক্তির দম্ভ-
বিবেকের দুয়ারে এসে কড়া নেড়ে বলবে।
আর যুদ্ধ নয়।
এবার স্বস্তি চাই!
শান্তি চাই।
                    ---- ০ ----