হেলায়ে রবি পুব আকাশে
                 গাঢ় রোদ চারিদিকে।
বরফে মোড়া হিমালয় চূড়া
               থর থর থরে কাঁপে।


কে যেন দোলায় চারিদিক দোলে
                  গাছপালা নড়ে চড়ে।
পাখ পাখালি নীড় ছেড়ে ছোটে
                 ঢেউ ওঠে নদী তটে।


প্রাণপণে ছোটে এদিক ওদিক
                   যে যার যে দিকে।
কাপছে মাটি দুলছে দালান
                 ছিঁড়ছে ঘরের শিকে।


মৃত্যুপুরীর দৈত্য দানব
               চক্ষু রাঙ্গাইয়া চায়।
কাপিল মর্ত্য ভাঙ্গিল দালান
             নিমেষে গুড়িয়ে যায়।


তিলে তিলে গড়া সভ্যতা
           এক নিমেষে খান খান।
মৃদু কম্পনে ধ্বংসে মাতিল
            একি প্রকৃতির প্রতিদান ?


লাখ লাখ লোক রাজপথ ছেড়ে
               ফুটপাথে এলো নেমে।
পড়িল চাপা অট্টালিকায়
               বাকি যারা ছিল থেমে।


হারাল স্বজন সুজন বন্ধু
             মা হারাল তার ছেলে।
ঘুম থেকে উঠে দাপিয়ে বেড়াত
           চারিদিকে হেসে খেলে।


ফিরবে না আর ধরণীর বুকে
               ফিরবে না আর ঘরে।
ফিরবে না আর কোলের শিশু
             আসবে না আর ফিরে।


আকাশে বাতাসে কান্নার রোল
             চারিদিকে হাহাকার।
উচু নিচু এক আকাশের নিচে
             মিলে মিশে একাকার।


যান নিয়ে ছোটে যমরাজ
                  যামিনীর ফোঁটা নিয়ে।
অসহায় মানুষ লুটপুটি খায়
                  ধূলাতে গড়া দিয়ে।


যন্ত্রণা এক স্বজন হারানো
             চারিদিকে কানাকানি।
যমে মানুষের নিবিড় লড়াই
             দুই দিকে টানাটানি।


পরাজিত তারা প্রকৃতির কাছে
                  ভোলা বড় ব্যথাভার
কোন সে দানব ধ্বংসে মেতেছে
                 করেছে সব ছারখার।


শশ্মানে জ্বলছে সারিসারি চিতা
                  মর্গে খুঁজছে মাকে।
রক্তে মাখা অসহায় বুড়ি
                খুঁজছে যেন কাকে।


প্রাণপণে টানে ধ্বংসের স্তূপ
                  প্রতিবেশী কোন পাশে।
সামনে পিছনে রক্তের স্রোত
                   ছিন্নভিন্ন শত লাশে।                  


খুঁজছে সবাই ধ্বংসের মাঝে
                  মর্ম মলিন ও মনে।
একটু আশায় খুঁজে ফেরে তাই
                  মৃত্যু পুরির বনে।


               ********
    ২৫/০৪/২০১৫, ১১ টা ৪৫ মিনিট