(মনসামঙ্গল কাব্যগ্রন্থের চাঁদ সওদাগরের কাহিনী অবলম্বনে লিখিত কবিতা)


ডুবে গেলো চাঁদের তরী মনসার অভিশাপে,
মৃত্যু হলো পুত্র লক্ষীন্দরের বিবাহ বাসরে।
সব বাধা অগ্রাহ্য করে ভেলায় চেপে বসে,
বেহুলা ভেসে চলে স্বামী লক্ষীন্দরের সাথে।


এইভাবে যাত্রা চললো বেহুলার দীর্ঘ ছয়মাস,
স্বামীকে ফিরিয়ে আনবে মনে তার বাস।
কোনো সময়েতে তরী এক ঘাটে এসে থামে,
দেখা হলো সেই ঘাটে এক ধোপানির সাথে।


উপদেশ দিলো সে দেবতাদের কাছে যেতে,
'নৃত্যে মুগ্ধ করো, স্বামীর প্রাণ ফিরে পেতে'।
নৃত্যের ছন্দে ধ্বনিত হলো বেহুলার নুপুর,
দেবতাদের মন হলো ভারাক্রান্ত বেদনা বিধুর।


আশার মোম জ্বলে ওঠে বেহুলার চেতনাতে,
স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা করলো দেবতাদের কাছে।
রাজি হলো মনসা, যদি চাঁদ তার পুজো করে,
অনিচ্ছা স্বত্বেও পূজা দিলো তার অবজ্ঞা ভরে।


মৃত্যুর পরে হলো বেহুলা-লক্ষিন্দর মিলন,
শান্তি ও সুখ খুঁজে পেলো বিধ্বস্ত যৌবন।
চাদ ফিরে পেলো তার হারানো তরীগুলো,
মর্তে সেই থেকে মনসার পুজো চালু হলো।