ডিভোর্সি-  প্রনব মজুমদার


"কলম ভারি উদাসীন
কাঁপতে কাঁপতে একটি সাক্ষর
অতঃপর একাকীত্বের শূন্যতায় লীন--
আকাশপাথর বুকে চেপে বসে
বলতে হয় বলি--ভালো আছি।"


এই ডিভোর্স শব্দটি অত্যন্ত একটি স্পর্শকাতর শব্দ। সংসার সন্তান ভালোবাসা দিয়ে পূর্ণ একটি দম্পতির স্বপ্নের বৃত্তটি যখন একদিন দমকা হাওয়ায় ভেঙে যায় ওই একটি ডিভোর্স শব্দের ব্যবহারে, জীবনটা হটাৎই যেন থমকে যায়। মেয়েদের  প্রথম মাতৃত্বের মধুর বিহ্বলতা আর পুরুষের যত্নে ভালোবাসায় গড়ে তোলা একটি মৃৎ ভাস্কর্য অনবধানে হাত থেকে পড়ে সম্পর্কটা ভেঙে যায়।ডেকে আনে ভালোবাসায় গড়ে তোলা একটি সম্পর্কের সমাপন।


কবি প্রনব মজুমদার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাঁর কলম চালালেন। লিখলেন ....


কাঁপতে কাঁপতে একটি সাক্ষর
অতঃপর একাকীত্বের শূন্যতায় লীন--


যেন একটি সম্পর্কের সমাপ্তি হলো শুধু একটি স্বাক্ষরের মাধ্যমে। সমাপ্তির ঘোষণাপত্র ?

দাম্পত্য-সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে সচরাচর দেখা যায় তিক্ততা, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি , কাটাকুটি, রক্তপাত যা ডেকে আনে সমাপন। জীবন থেকে যেন দাম্পত্য সম্পর্কটা যেন চুরি হয়ে গেলো এক নিমেষে। থেকে গেলো কিছু ক্ষতচিহ্ন আর কিছু অশ্রুর দাগ। গৃহস্থালি খেলার সাঙ্গ হলো একটি কলমের আঁচড়ে।


এবার নিজের ঘর গড়ো
এবার নিজের হাতে নিজেকে নির্মাণ —


ভালোবাসা, বিশ্বাস আর আস্থায় গড়া সংসারটা  ‘ডিভোর্স’ নামের একটা ছোট্ট শব্দ সুখের সংসারটা নিমেষেই এলোমেলো করে দিলো।


হলো কি সমস্যার সমাধান? প্রশ্নটা রয়েই গেলো।


কবি প্রণব মজুমদারের এই অসাধারণ কবিতাটির জন্যে কবিকে জানাই আমার শত শত অভিনন্দন!!!