শরতের আকাশ ,
আনন্দময়ীর আগমনে
চারিদিকে বেজে উঠবে উৎসবের বাঁশি।
মধ্যবিত্তের ব্যথা ,দুঃখ , একঘেয়ে রুটিন,
সবকিছু ভুলে গিয়ে  
মেতে উঠবে মা দূর্গা কে নিয়ে।
তুমি কি শুধু এটাই চাও মা ?
তোমার দেহজ্যোতি আর দশভুজা দিয়ে
কি করে ভুলে যাও তাদের কথা
জীবনে যাদের খালি ক্ষত আর ব্যথা ?
স্নেহভরে দাওনি কেন তাদের পরিয়ে বসন ,
মুছিয়ে দাওনি তো তুমি তাদের জলভরা নয়ন?  
তুমি নাকি বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা?
তুমি নাকি মহাবিশ্বের মা?
তাহলে নিস্পন্দ থাকো কেন শামিয়ানার নীচে।
সুপ্রিম পাওয়ারের কাছে তুমি অসহায়, তুমি পরাভূত।
পৌনঃপুনিক অপশক্তির দ্বারা
মানবজাতির রক্ত দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে জগৎ।
তাই আধ্যাত্বিক মূল্য সরে যাচ্ছে মানুষের মন থেকে ,
বিশ্বাস হয়ে যাচ্ছে রোগাক্রান্ত ও মৃত।
পারতো ক্ষমা করে দিয়ো আমাকে
আমি দুঃখিত, হাঁটু গেড়ে করজোড়ে
প্রণাম করতে পারলাম না বলে।


বরং জীবন উৎসর্গ করে দেব
নিপীড়িত মানবতার জন্যে।