বইয়ের তাকে থাকবে
রবীন্দ্ররচনাবলী ,শরত্চন্দ্র আর বঙ্কিম রচনাবলী ,
সঙ্গে সুকান্ত,নজরুল,জীবনানন্দ আর সুকুমারের কবিতা সংগ্রহ |
ড্রইং রুমে টাঙানো থাকবে নজরুল আর কবিগুরুর ছবি |
পুজোতে চাই ই চাই দু একটা পূজাবার্ষিকী |


পরীক্ষার আগে চাই পিতামাতার আশীর্বাদ ,
সঙ্গে চাই কপালে দইয়ের ফোঁটা |
আর পরীক্ষার বিরতিতে পিতা অপেক্ষা করে থাকে
হলের বাইরে ডাব হাতে নিয়ে সন্তানের মঙ্গল কামনায় |


ভোজনপর্বে থাকবে
সুক্ত,ভাজা,ডাল,তরকারি,মাছ,টক ও একটু দই |
সাধারণ বাঙালি পরিবারের যা প্রাত্যহিক আহার |
অতিথি আপ্যায়নের ওই একই ব্যবস্থা ,
অপরাহ্নে নারকেলের কুচি সহযোগে চিঁড়ে ভাজা ,
বাড়িতে তৈরী গরম লুচি |
চায়ের সঙ্গে পান্তুয়া ও রসগোল্লার সমারোহ
আর ভাতের সঙ্গে চপ-কাটলেটের বাহুল্য |
সঙ্গে ভেসে আসবে কানে
নজরুলগীতি অথবা রবীন্দ্রসংগীত |
অতিথিকে স্মরণ করিয়ে দেবার নেই চেষ্টা
এ গৃহে সে একজন বহিরাগত আগন্তুক |
তাই সহজ হবার মধ্যেই বেঁচে আছে
আমাদের বাঙালি কালচার |


আমরা বাঙালি
আমাদের মধ্যে নেই কোনো ধর্মের ভেদাভেদ |
জানিনা কে মুসলিম কে হিন্দু ,কে ক্রিশ্চান ,
একসঙ্গে আনন্দে মাতি ঈদ ,পুজো আর বড়দিনে|


আড়ম্বরের মাঝে আছে খালি দম্ভের
সে দম্ভ কখনো অর্থের ,
কখনো বিদ্যার , কখনো প্রতিপত্তির |
এ কালচার আমরা মানিনা
আমৃত্যু বেঁচে থাকবো আমরা বাঙালি কালচার নিয়ে |