অজয় নদীর তীরে.... পাখিরা গাহিছে নীড়ে
অজয় নদীর কবিতা (নবম পর্ব)
কলমে কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয়ের নদীচরে সোনালী কিরণ ঝরে
পূবে হাসে অরুণ তপন,
বসিয়া তরুর শাখে কিচিমিচি পাখি ডাকে
মৃদু মন্দ বহে সমীরণ।
রাঙাপথে গরুগাড়ি নদী ছাড়ি দেয় পাড়ি
নদীজলে পার হয়ে যায়,
নদী পারে দুই ধারে তালগাছ সারে সারে
ছোট গ্রাম তরুর ছায়ায়।
ছেলেরা গামছা পরে নদীঘাটে স্নান করে
জল নিয়ে বধূ ঘরে চলে,
নদীঘাটে তরুছায় রাখাল বাঁশি বাজায়
গরু মোষ পার হয় জলে।
অজয়ের নদীঘাটে তপন বসিল পাটে
পাখিসব নীড়ে ফিরে যায়,
সাঁঝের আঁধার নামে দীপ জ্বলে দূরে গ্রামে
বাজে দূরে সাঁঝের সানাই।
তৃতীয়ার চাঁদ উঠে অগণিত তারা ফুটে
অদূরে শ্মশানে চিতা জ্বলে,
অজয় নদীর জল কল কল ছল ছল
আনমনে নদী বয়ে চলে।