গাঁয়ের ছায়া মাটির মায়া... মা মাটি মানুষের ভালবাসা আমার গাঁ আমার মা (দশম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আমার গাঁয়ের কাছে ছোট এক দিঘি আছে
পাড়ে তার আছে তালগাছ,
ছোট দিঘি জলে তার হাঁসেরা দেয় সাঁতার
গাঁয়ের জেলেরা ধরে মাছ।


গাঁয়ে আছে ছোট ঘর উত্তরে অজয় চর
পূবদিকে আছে ধানমাঠ,
বাঁকা গলিপথ দিয়ে কাঁখেতে কলসী নিয়ে
বধূসব আসে নদীঘাট।


গাঁয়ের পথের বাঁকে কাঁঠালের বন থাকে
আম বন জাম বন দূরে,
মন্দিরেতে বাজে কাঁসি রাখাল বাজায় বাঁশি
সুমধুর রাখালিয়া সুরে।


সাঁঝের আঁধার নামে আমাদের এই গ্রামে
দূরগ্রামে দীপ জ্বলে উঠে,
আমাদের এই গাঁয় ফুটফুটে জোছনায়
গগনেতে লক্ষতারা ফুটে।


রাতি কাটে ভোর হয় আসে প্রভাত সময়
তরুশাখে পাখি করে রব,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি প্রভাতে উঠিল রবি
পাঠ্যশালা চলে শিশু সব।



স্বাধীন ভারত ........গাহি ভারতের জয়গান
জননী আমার ভারতবর্ষ (প্রথম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


স্বাধীন ভারত স্বাধীন ভারত
জননী ভারতবর্ষ আমার,
এতদিন পরে ঘুচিল মায়ের
দুঃখ-কষ্ট পরাধীনতার।


স্বাধীন ভারত স্বাধীন ভারত
গাহি ভারতের জয়গান,
ভারত আমার সুখের স্বর্গ
আকুল করে তোলে প্রাণ


ভারত আমার ভারতবর্ষ
স্বদেশ আমার স্বর্গধাম,
জননী আমার ভারতবর্ষ
ভারতমাকে করি প্রণাম।


হিমালয় শিরে কুমারিকা তীরে
উড়িছে জাতীয় পতাকা,
গেরুয়া, সবুজ, সাদা মাঝখানে
যেথা অশোকচক্র আঁকা।


স্বাধীন ভারত স্বাধীন ভারত
কহে ভারতের জনগণ,
জয় হিন্দ জয় ভারতমাতা
লিখিল কবি শ্রীলক্ষ্মণ।