ভক্তের আকুল আহ্বানে ভক্তের ভগবান যদি সাড়া না দেন
তাহলে কি হবে তার পূজা করে? মন্দিরে দেবতা থাকেন না।
তিনি থাকেন সবাকার হৃদয়মন্দিরে।

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন
"বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর,
জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।"


কিন্তু আমরা মানুষকে দূরে সরিয়ে রেখে পাথরের দেবতার পূজা করি, কিন্তু মানুষের পূজা করি না। মানুষে মানুষে ভালবাসাই হল দেশ ও জাতির মুক্তির পথ।
ভগবান নয়, মানুষ নিজেই তার ভাগ্য-বিধাতা।
আমার কবিতা, আমার কান্না নয় , শুধু কবিতা।



আমারে ব্যথা দাও বারে বারে  
                            -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ওগো ভগবান! তুমি যে আমারে, ব্যথা দাও বারে বারে,
লয়েছো কাড়িয়া সুখ ও শান্তি মায়াময় এ ভব সংসারে।
আমারে ব্যথা দাও বারে বারে।


ওগো প্রভু তুমি হে জীবনস্বামী ডাকি তোমায় নিশিদিন,
সবাকারে দিলে অতুল ঐশ্বর্য্য তুমি আমায় করিলে দীন।
অশ্রুজলে ভাসি তবু নিত্য পূজি ডাকি বিধাতা তোমায়,
বারে বারে ডাকি দিবানিশি কাঁদি তব দেখা নাহি পাই।


ওগো ভগবান! তুমি যে আমারে, ব্যথা দাও বারে বারে,
লয়েছো কাড়িয়া সুখ ও শান্তি মায়াময় এ ভব সংসারে।
আমারে ব্যথা দাও বারে বারে।


কেন হে নিঠুর! পাষাণ তুমি, কাঁদে নাকো তোমার প্রাণ,  
কত কাজে তাড়া পাই নাকো সাড়া তবু গাহি তব গান।
শুনেছি হে প্রভু থাকো তুমি সদা সবাকার হৃদয় মাঝে,
তবে কেন বল আসে চোখে জল নাহি তব বুকে বাজে।  


ওগো ভগবান! তুমি যে আমারে, ব্যথা দাও বারে বারে,
লয়েছো কাড়িয়া সুখ ও শান্তি মায়াময় এ ভব সংসারে।
আমারে ব্যথা দাও বারে বারে।  


পাষাণ প্রতিমা পাথরের পুতুল তবুও করি পূজা তাঁহার,
মন্দিরে কাঁদে না পাথরের দেবতা বন্ধ থাকে যে দুয়ার।
ভক্তি অশ্রুজল এইটুকু সম্বল ভক্তের ভগবান নাহি কাঁদে।  
সংসার নিখিলে প্রতি পলে পলে ভক্তরে মায়াপাশে বাঁধে।    


ওগো ভগবান! তুমি যে আমারে, ব্যথা দাও বারে বারে,
লয়েছো কাড়িয়া সুখ ও শান্তি মায়াময় এ ভব সংসারে।
আমারে ব্যথা দাও বারে বারে।