বেড়ার ধারে শ্যাওড়া গাছে
শালিক পাখির বাসা,
গাঁয়ের মাঠে লাঙল চালায়
আমার গাঁয়ের চাষা।


দিঘির জলে শালুক ফোটে
রাজহাঁস জলে ভাসে,
পানকৌড়ি ডুব দিতে রোজ
নয়ন-দিঘিতে আসে।


নয়ন দিঘির শীতল জলে
ছেলেরা সাঁতার কাটে,
ঘোমটা মাথায় গাঁয়ের বধু
জল নিতে আসে ঘাটে।


গাঁয়ের মাঝে ময়রা ভোলা
সাজায় দোকান তার,
সারাদিন বানায় রসগোল্লা,
পানতোয়া, দানাদার।


বেচাকেনা সেরে সাঁঝবেলায়
সে দোকান বন্ধ করে,
একতারার সুর বেজে ওঠে
গাঁয়ের আটচালা ঘরে।


রাতের আকাশে চাঁদ ওঠে
তারার মালা ফোটে,
শেয়ালের হাঁক শোনা যায়
কাঁকনতলার মাঠে।


অজয় নদী আপন বেগেতে
বয়ে চলে দিনরাত,
রাত কাটে ভোর হয়ে শেষে
আসে নতুন প্রভাত।