আজ ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। নারীর অর্জন, আর অগ্রযাত্রার প্রতীক এই নারী দিবস। মানুষ হিসেবে একজন নারী পরিপূর্ণ অধিকারের দাবিতে সুদীর্ঘকাল যে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তারই সম্মানস্বরূপ পালিত হয় নারী দিবস।


আজ সারা বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ব নারী দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলা কবিতা আসরের অনেকেই আজ নারীদের চেতনায় নারী জাগরণের কবিতা লিখেছেন। তাদের উত্সাহিত করতে আজ আমার এই কবিতা।



বিশ্ব নারীদিবসের কবিতা
                       -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


সারা বিশ্বের                কল্যাণ যত
           নারীদের অবদানে,
বিশ্ব নারী                   দিবস আজিকে
          তাঁদেরই সসম্মানে।


এই বিশ্বের                উন্নতি যত
          সব নারীদের দান,
বিশ্ব নারী                 দিবসে আজি
         দিতে হবে সম্মান।


স্বদেশের তরে           করেছে সংগ্রাম
        অস্ত্র ধরি নিজ হাতে।
সমান তালে             যুঝিয়াছে নারী
        পুরুষের সাথে সাথে।


গৃহের কোণে             বন্দী নারীরা
        উঠেছে হিমালয় চূড়ে,
নারী বন্দনা              দিকেদিকে আজ
        তাই সারা বিশ্বজুড়ে।


নারীরা রত্ন                দেশের মণি
         নারীরা জাতির মান,
তবুও কেন                পায় না নারী
         যোগ্যা নারীর সম্মান?


এসো এসো নারী         দু-হস্ত প্রসারি
         তুমি যে কল্যাণময়ী,
তুমি মা শক্তি             মায়ের জাতি
         হও আজি বিশ্ব-জয়ী।


আমার পূর্ব প্রকাশিত একটি জ্বলন্ত কবিতা আন্তর্জাতিক
বিশ্ব নারী দিবসে পুনরায় প্রকাশ দিলাম।


জাগো ভারতের নারী
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নারীর সম্ভ্রম ভূলুণ্ঠিত আজি ভুলতে কি কভু পারি?
নতুন করে বিদ্রোহ আজিকে জাগো ভারতের নারী।


সতী সাবিত্রীদের হরিছে রাবণ, বাংলার ঘরে ঘরে,
ওদের আঘাতে কত ফুলকলি অকালে গেছে ঝরে।
কলির দুঃশাসন, মানে না শাসন করিছে বস্ত্রহরণ,
কোথা হে কৃষ্ণ! আগুয়ান হও করো লজ্জা নিবারণ।


রাতের আঁধারে নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠণ করিছে যারা,
দিনের আলোকে সাধুর বেশে দেশশাসন করে তারা।
দিকে দিকে চলে নারী-নির্যাতন শুনি তার কোলাহল,
মোছ আঁখিজল জ্বালো দুচোখে প্রতিশোধের দাবানল।


নর-পশুর দল এসেছে হেথা এই বসুধার সাগরতীরে,
সতীত্ব হারায়ে বঙ্গ-ললনা ভাসিছে আজি আঁখিনীরে।
নরপশুদের নখের প্রহারে জর্জরিত শত রমনীর দেহ,
মায়ের জাতিকে ব্যথা দেয় ওরা, নাই মমতা ও স্নেহ।


গায়ের জোরে দিনকে যারা করেছে অমানিশা রাত,
মুখোশ খুলে দেখিবারে পাই ওরা হল পশুর জাত।
নর-দানবে বধিতে হেথায় এসো মহামায়ার দল,
শক্তি লভিয়া, মহাস্ত্র ধরিয়া, দেখাও রমণীর বল।


নারীর সম্ভ্রম ভূলুণ্ঠিত আজি স্মরি ব্যথা পাই মনে,
লাজে মুখ লুকায় অরুণ রবি পূব আকাশের কোণে।
ওদের ব্যথা বোঝেনা কেহ ভাসে ওরা আঁখি জলে,
আমার লেখনী অশান্ত হয়ে শুধু তাঁদেরই কথা বলে।



বিদ্রোহ আজ কবিতার পাতায় হেরি তাদের মলিনমুখ,
মাতৃজাতিকে ব্যথা দিলে তাই দুঃখে ফাটে মোর বুক।
নারীর সম্ভ্রম ভূলুণ্ঠিত আজি ভুলতে কি আর পারি?
নতুন করে বিদ্রোহ আজিকে জাগো ভারতের নারী।