কবিতার আসর ও কাব্যগীতি (কবির ২০০০ তম প্রয়াস)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

পায়ে পায়ে পথচলা সুদীর্ঘ ৭ বছর ১১ মাস। এই সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আজ এসে থমকে দাঁড়িয়েছি কবিতা আসরের ছায়ায়। এ যেন এক কবিদের নীরব পান্থশালা। কেহ আসে আবার কেহ চলে যায়। বাংলা কবিতার আসরের ভাগ্যাকাশ আজ বড়ই বিষণ্ণ। আমরা হারিয়েছি আমাদের শ্রদ্ধেয় গায়ক কবি শহীদ খাঁন মহাশয়কেকে। আজ তাঁর কথা বারে বারে মনে পড়ে। কবি যেখানেই থাকুন আমরা জানি তিনি আমাদের পাশেই আছেন। আর থাকবেন। কবির প্রেরণায় কবির স্মরণে আমার দুই সহস্রতম কবিতা- কবিতার আসর ও কাব্যগীতি তাঁর অমর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উত্সর্গ করলাম। জয়গুরু!
                                                                                                                                                                
                                                             বিনয়াবনত কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।

সুরের আকাশে               কবিতারা হাসে
              কবিতা প্রভাতী সুর,
সে সুর মিলায়                  আকাশের গায়
               দূর হতে বহু দূর।


প্রভাত রবির                  কিরণে কবির
              কলমে যে সুর বাজে,
বাজে সুর সেই               আজি নিরালায়
              কবির হৃদয় মাঝে।


কবিতা আসরে               বহুদিন ধরে
             লিখেছি কবিতা কত,
সকাল ও সাঁঝে              দিবসের মাঝে
             লিখে রাখি অবিরত।


আমার পাতায়                 কেহ আসে যায়
              কেহবা মন্তব্য করে,
জানি না কখন                 কবে প্রয়োজন
               তবু লিখি সমাদরে।


কবিতার গাছে                ফুল ফুটে আছে
              কবিতা ফুলের মালা,
কবিতা রচিয়া                   মালাটি গাঁথিয়া
               সাজাই বরণ ডালা।


আমার কবিতা                    ধরার সবিতা
               প্রকৃতির কথা বলে,
আমার কবিতা                    ক্ষুধিতের ব্যথা্
               লিখে রাখে প্রতিপলে।


কবিতা আমার                  আশা নিরাশার
              ঝরে পড়া অভিমান,
আমার লেখনী                  বিদ্রোহের বহ্নি
              গাহে বিদ্রোহের গান।


আমি নই কবি                   বুভুক্ষার ছবি
              কভু আঁকি কবিতায়,
আমার লেখায়                 বিয়োগ ব্যাথায়
              পথহারা পথ পায়।


সোনারবি হাসে               দূরের আকাশে
              ছড়ায় সোনা কিরণ,
তরুর শাখায়                  বিহগেরা গায়
              হেরি মুধর মিলন।


অজয়ের বাঁকে             আসে ঝাঁকে ঝাঁকে
              বন শালিকের দল,
আঁকা বাঁকা পথে            আসে জল নিতে
             গাঁয়ের বধূরা সকল।


নদীঘাট কাছে               কবিতার গাছে
             ধরেছে ফুল ও ফল,
দ্বি সহস্রতম                 কবিতাটি মম
             কবিতার শতদল ।

অজয়ের জলে               শীতের সকালে
            ফুটে উঠে নব ছবি,
স্মৃতি মনে রয়               তাই মনে হয়
            আমি অজয়ের কবি।