মা মহালক্ষ্মীর স্তবস্তুতি (মহালক্ষ্মী স্তোত্রমালা)
তথ্যসংগ্রহ, বাণীরচনা ও স্তোত্রপাঠ- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী



বৈদিক লক্ষ্মী কিন্তু শস্য-সম্পদের দেবী ছিলেন না। বরং নদীরূপিনী সরস্বতী শস্যদাত্রী হিসেবে গণ্য হতেন। নদী পলি মাটি ভরাট করে উর্বর করত ভূমিতট। এর পরে তো বৈদিক আর্যরা চাষাবাদ শিখল ‘নিম্নবর্গ’-এর কাছে। সম্পদ এল আর্যদের হাতে। শাসক বা শোষক হলেন তাঁরা।


দুর্বাসা মুনির ক্রোধের কথা ত্রিভুবনবাসী জানে। তিনি ভালবেসে ইন্দ্রকে দিলেন পারিজাত ফুলের মালা। এরপর ইন্দ্র রম্ভা-সম্ভোগে যখন মত্ত, ওই মালা নিজের বাহন ঐরাবতের গলায় ছুঁড়ে দেন। হাতি জানে না ফুলের কদর। সে মালা ছিঁড়ে ফেলল ঐরাবত। দুর্বাসা গেল ক্ষেপে। অভিশাপ দিল। অভিশাপে ইন্দ্রের ইন্দ্রপুরী হল শ্রীহীন, লক্ষ্মীছাড়া দশা।


স্ত্রী লক্ষ্মী, ইন্দ্রের অনুমতি নিয়ে পাতালে, মানে সমুদ্রে প্রবেশ করলেন। পরে সমুদ্র-কন্যা হয়ে জন্মাচ্ছেন। সেই লক্ষ্মী আরও পরে সমুদ্র মন্থনে উঠে আসছেন অমৃত পূর্ণ কুম্ভ বা কলস নিয়ে। তবে উপপুরাণের অর্বাচীন পৃষ্ঠায় লক্ষ্মী একবার তুলসী, একবার ঘোটকী হয়েও জন্মান।


জ্যোৎস্না প্লাবিত এই পৃথিবীর হেমন্তে আসেন শুধু একটি রাতের অতিথি হয়ে। এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে। বাংলার ঘরে ঘরে তার আকুল আহ্বান। বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে চলছে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার আয়োজন ।


শারদ পূর্ণিমার দিনে শুভ সময়


২৮ অক্টোবর, বেলা ৪টে ১৭ মিনিট থেকে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে। শেষ হবে ২৯ অক্টোবর , সকাল ০১টা ৫৩ মিনিটে। ২৮ অক্টোবর বিকেল ৫.৪৭ মিনিটে চন্দ্রোদয় হবে। আগামী ২৮ অক্টোবর, সকাল ১টা ৫ মিনিট থেকে হচ্ছে বছরের দ্বিতীয় ও শেষ চন্দ্রগ্রহণ। শেষ হবে ২টো ২৩ মিনিটে। গ্রহণের সূতক সময় ৯ ঘন্টা আগে শুরু হবে। অন্যদিকে, শারদ পূর্ণিমা শুরু হতে চলেছে আগামী ২৮ অক্টোবর, ভোর ৪টে ১৭ মিনিটে। শেষ হবে ২৮ অক্টোবর গভীর রাত ৩টে ৪৬ মিনিটে। হিন্দু ধর্ম মতে, এ বছর শারদ পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণের ছায়া পড়ায় ক্ষীর দেওয়া উচিত নয়। পুজো করাও শুভ নয়। কারণ সূতক সময় শুরু হওয়ার পরে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এদিন মন্ত্র জপ ও কীর্তন করা শুভ প্রভাব হতে পারে।



লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র


ওম শ্রীং ক্লীং মহালক্ষ্মী মহালক্ষ্মী এহ্যোহি সর্ব সৌভাগ্যং দেহি মে স্বাহা।।



এই লক্ষ্মী মন্ত্র জপ করলে আর্থিক সমস্যা ও টাকাপয়সা সংক্রান্ত বাস্তু দোষ দূর হয়। ১০৮ বার এই মন্ত্র জপ করা উচিত।



ঋণ মুক্তির মন্ত্র


ওম হৃীং শ্রী ক্রীং ক্লীং শ্রী লক্ষ্মী মম গৃহে ধন পূরয়ে, ধন পূরয়ে, চিন্তায় দূরয়ে-দূরয়ে স্বাহাঃ।।



ধন লাভের মন্ত্র


যা রক্তাম্বুজবাসিনী বিলাসিনী চণ্ডাংশু তেজস্বিনী। যা রক্তা রুধিরাম্বরা হরিসখী যা শ্রী মনোল্হাজিনী।। যা রত্নাকরমন্থনাত্প্রংগটিতা বিষ্ণোস্বয়া গেহিনা। সা মাং পাতু মনোরমা ভগবতী লক্ষ্মীশ্চ পদ্মাবতী।।



মনস্কামনা পূরণের মন্ত্র


শ্রীং হৃীং ক্লীং এং কমলবাসিন্যৈ স্বাহা।



এই মন্ত্র লক্ষ্মীর মূল মন্ত্র। পদ্মবীজের মালা দিয়ে এর জপ করা উচিত। এই মন্ত্র জপ করলে লক্ষ্মী সিদ্ধ হন ও ভক্তদের কাঙ্খিত বর দান করেন।



সাফল্যের মন্ত্র


ওম হৃীং হৃীং শ্রী লক্ষ্মী বাসুদেবায় নমঃ



সুখ-সমৃদ্ধির মন্ত্র


দুঃখ-কষ্ট দূর ও জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করার জন্য নিয়মিত লক্ষ্মী গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা উচিত। এটি হল-- ওম শ্রী মহালক্ষ্ম্যৈ চ বিদ্মহে বিষ্ণু পত্নৈ চ ধীমহি তন্নো লক্ষ্মী প্রচোদয়াৎ ওম।



আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির মন্ত্র


ওম হৃীং শ্রীং লক্ষ্মীভ্যো নমঃ। এই মন্ত্র জপ করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পাশাপাশি সমস্ত দুঃখ-কষ্টও দূর হয়।


মহালক্ষ্মীর অষ্টোত্তর শতনাম।


১) প্রকৃতি ,২) বিক্রুতি , ৩) বিদ্যা , ৪) সর্বভূতহিতপ্রদা, ৫) শ্রদ্ধা , ৬) বিভূতি, ৭) সুরভি, ৮) পরমাত্মিকা, ৯) জয়প্রদা , ১০) পদ্মালয়া , ১১) পদ্মা , ১২) শুচী, ১৩) স্বাহা, ১৪) স্বাধা, ১৫) সুধা , ১৬) ধন্যা , ১৭) হিরন্ময়ী, ১৮) লক্ষ্মী ,
১৯) নিত্যাপুষ্টা, ২০) বিভা, ২১) অদিত্যা, ২২) দিত্যা, ২৩) দীপা, ২৪) বসুধা, ২৫) ক্ষীরোদা, ২৬) কমলাসম্ভবা,
২৭) কান্তা, ২৮) কামাক্ষী, ২৯) ক্ষীরোদসম্ভবা , ৩০) অনুগ্রহাপ্রদা, ৩১) ঐশ্বর্য্যা , ৩২) অনঘা, ৩৩) হরিবল্লভী,
৩৪) অশোকা , ৩৫) অমৃতা, ৩৬) দীপ্তা, ৩৭) লোকাশোকবিনাশিনী, ৩৮) ধর্মনিলয়া, ৩৯) করুণা, ৪০) লোকমাতা,
৪১) পদ্মপ্রিয়া, ৪২) পদ্মহস্তা, ৪৩) পদ্মাক্ষী , ৪৪) পদ্মসুন্দরী, ৪৫) পদ্মভবা, ৪৬) পদ্মমুখী, ৪৭) পদ্মনাভপ্রিয়া, ৪৮) রমা, ৪৯) পদ্মমালাধরা , ৫০) দেবী, ৫১) পদ্মিনী, ৫২) পদ্মগন্ধিণী , ৫৩) পুণ্যগন্ধা, ৫৪) সুপ্রসন্না, ৫৫) শশীমুখী , ৫৬) প্রভা, ৫৭) চন্দ্রবদনা, ৫৮) চন্দ্রা , ৫৯) চন্দ্রাসহোদরী , ৬০) চতুর্ভুজা , ৬১) চন্দ্ররূপা , ৬২) ইন্দিরা, ৬৩) ইন্দুশীতলা,
৬৪) আহ্লাদিণী, ৬৫) নারায়নী , ৬৬) বৈকুন্ঠেশ্বরি ৬৭) হরিদ্রা ৬৮) সত্যা , ৬৯) বিমলা, ৭০) বিশ্বজননী, ৭১) তুষ্টি,
৭২) দারিদ্রনাশিণী, ৭৩) ধনদা , ৭৪) শান্তা, ৭৫) শুক্লামাল্যাম্বরা , ৭৬) শ্রী, ৭৭) ভাস্করী , ৭৮) বিল্বনিলয়া ,
৭৯) হরিপ্রিয়া , ৮০) যশস্বীনি , ৮১) বসুন্ধরা , ৮২) উদারঙ্গা, ৮৩) হরিণী , ৮৪) মালিনী, ৮৫) গজগামিনী , ৮৬) সিদ্ধি , ৮৭) স্ত্রৈন্যাসৌম্যা , ৮৮) শুভপ্রদা, ৮৯) বিষ্ণুপ্রিয়া , ৯০) বরদা , ৯১) বসুপ্রদা, ৯২) শুভা , ৯৩)চঞ্চলা , ৯৪) সমুদ্রতনয়া , ৯৫) জয়া , ৯৬) মঙ্গলাদেবী, ৯৭) বিষ্ণুবক্ষাস্থলাসিক্তা , ৯৮) বিষ্ণুপত্নী, ৯৯) প্রসন্নাক্ষী , ১০০) নারায়নসমাশ্রিতা,
১০১) দারিদ্রধ্বংসিণী, ১০২) কমলা, ১০৩) সর্বপ্রদায়িনী, ১০৪) পেঁচকবাহিণী, ১০৫) মহালক্ষ্মী, ১০৬) ব্রহ্মাবিষ্ণুশিবাত্মিকা , ১০৭) ত্রিকালজ্ঞানসম্পূর্ণা, ১০৮) ভুবনমোহিনী।


মহালক্ষ্মী স্তোত্র


এই ব্রতর সময়ে মহালক্ষ্মী স্তোত্র পাঠ করা অত্যন্ত শুভ। এই স্তোত্রটি তুলে ধরা হল এখানে।


নমস্তেস্তু মহামায়ে শ্রীপীঠে সুরপূজিতে।
শঙ্খচক্রেগদাহস্তে মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।


নমস্তে গরুড়রূঢ়ে কোলাসুরভয়ঙ্করী।
সর্বপাপহরে দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।


সর্বজ্ঞ সর্ববরদে দেবী সর্বদুষ্টভয়ঙ্করী।
সর্বদুঃখহরে দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।


সিদ্ধিবুদ্ধিপ্রদে দেবী ভক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী।
মন্ত্রপুতে সদা দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।


আদ্যন্তরহিতে দেবী আদ্যশক্তিমহেশ্বরি।
যোগজে যোগ সম্ভূতে মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।


স্থূলসূক্ষ্মমহারৌদ্রে মহাশক্তিমহোদরে।
মহাপাপহরে দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।


পদ্মাসনস্থিতে দেবী পরব্রহ্মস্বরূপিণী।
পরমেশি জগন্মাতর্মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।


শ্বেতাম্বরধরে দেবী নানালঙ্কারভূষিতে।
জগৎস্থিতে জগন্মাতর্মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।


মহালক্ষ্ম্যষ্টকং স্তোত্রং যঃ পঠেদ্ভক্তিমান্নরঃ।
সর্বসিদ্ধিমবাপ্নোতি রাজ্যং প্রাপ্নোতি সর্বদা।।


এককালে পঠেন্নিত্যং মহাপাপবিনাশনম্।
দ্বিকালং যঃ পঠেন্নিত্যং ধন্যধান্যসমন্বিতঃ।।


ত্রিকালং যঃ পঠেন্নিত্যং মহাশত্রুবিনাশনম্।
মহালক্ষ্মীর্ভবেন্নিত্যং প্রসন্না বরদা শুভা।।


কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা আজি বসুধায়,
ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজা শুক্ল পূর্ণিমায়।
ধান্য দূর্বা ফুলমালা ঘটে আম্রশাখা,
তদুপরি নববস্ত্র কচি ডাব রাখা।


নমো নম লক্ষ্মীমাতা প্রণমি তোমারে,
জনম জনম মাগো থাক মোর ঘরে।
তব কৃপা হলে সবে হয় ধনবান,
অর্থ যশ ধন রত্ন সব তব দান।


সুপ্রসন্না হও মাগো তুমি যার প্রতি,
সুখ শান্তি নিরবধি ধর্মে হয় মতি।
সুখ প্রদায়িনী তুমি তব করুণায়,
ধনহীন লভে ধন সদা সুখ পায়।


কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা করে যেইজন,
দেবী কৃপাবলে লভে অর্থ আর ধন।
সন্ধ্যায় পাঁচালি পাঠ বিহিত বিধান,
কাব্য রচে কবিবর লক্ষ্মণ শ্রীমান।


কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা (দ্বিতীয় কবিতা)
কলমে – কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


প্রণমামি লক্ষ্মীদেবী তুমি মা জননী,
ঐশ্বর্য বৈভব আদি সৌভাগ্যদায়িনী।
শারদ পূর্ণিমা তিথি মহা ধূম পড়ে,
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা হয় ঘরে ঘরে।


মাটির প্রতিমা দেবী বেদী পরে রাখে,
সযতনে চারিভিতে আলপনা আঁকে।
সুগন্ধি চন্দন আদি ধূপ দীপমালা,
সুমিষ্টান্ন ফলমূল নারিকেল কলা।


আমের পল্লব রাখি ঘটে জল ভরে,
ধান দূর্বা ফুল দিয়ে লক্ষ্মীপূজা করে।
পূজান্তে পাঁচালী পাঠ হয় বিধিমতে,
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা বিদিত জগতে।


মহালক্ষ্মী ব্রতকথা অমৃত সমান,
কবিতায় গাহে কবি পাঁচালীর গান।
লক্ষ্মীর পাঁচালী পাঠ করে যেইজন,
অপুত্রক লভে পুত্র কহেন লক্ষ্মণ।


কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা (তৃতীয় কবিতা)
কলমে – কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


প্রণমামি লক্ষ্মীদেবী বসো মাগো ঘরে,
ভক্তিপুষ্প অর্ঘ দিয়ে পুজিব তোমারে।
শারদ পূর্ণিমা তিথি পূণ্য শুভক্ষণে,
লক্ষ্মীপূজা করে সবে ভক্তিযুক্ত মনে।


তুমি মাতা লক্ষ্মীদেবী ঐশ্বর্ষ্যদায়িনী,
অপার মহিমা তব কি বর্ণিব আমি।
এসো মাগো লক্ষ্মীমাতা তুমি মা কমলা,
মম গৃহে থাক মাগো না হয়ো চঞ্চলা।


লক্ষ্মীর পাঁচালী কাব্য পড়ে যেইজন,
ধন বৃদ্ধি হয় ভবে সুখী সেইজন।
প্রতি গুরুবারে যেবা লক্ষ্মীপূজা করে,
সুখ, শান্তি, ধন, বৃদ্ধি হয় তার ঘরে।


লক্ষ্মী করুণায় ঘরে ভরে রত্নধন,
তব শ্রীচরণ মাগে ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।
লক্ষ্মীর পাঁচালি কাব্য যুগের পুরাণ।
পাঁচালির কাব্য লিখে লক্ষ্মণ শ্রীমান।


কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা (চতুর্থ কবিতা)
কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা মহা ধূমধাম,
মা লক্ষ্মীর চরণেতে জানাই প্রণাম।
বিষ্ণুর বনিতা তুমি রূপে অনুপমা,
বিশ্বজুড়ে হেরি তব অমর মহিমা।


শোভিছে মঙ্গলঘট তাহে আম্রশাখা,
চৌদিকে সুদৃশ্য বহু আলপনা আঁকা।
ধূপ দীপ শঙ্খ ঘণ্টা প্রসাদের থালা,
সুগন্ধি চন্দন আর পত্র পুষ্প মালা।


শুক্ল পূর্ণিমা তিথিতে দেবীর পূজন,
পুরোহিত মন্ত্র পড়ে হয়ে একমন।
পূজান্তে পাঁচালিপাঠ ভক্তিযুক্ত মনে,
খিচুড়ি প্রসাদ ভোগ খায় সর্বজনে।


করি আরাধনা আমি ভক্তিসহকারে,
অন্ন দেহ ধন দেহ মালক্ষ্মী আমারে।
মহালক্ষ্মী ব্রতকথা অমৃত সমান,
রচিল লক্ষ্মণ কবি পাঁচালীর গান।


কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা (পঞ্চম কবিতা)
কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শারদ পূর্ণিমা তিথি শাস্ত্র মতে কয়,
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা বিধিমতে হয়।
সুগন্ধি চন্দন ধূপ প্রদীপ জ্বালায়,
আমের পল্লব এক ঘটেতে সাজায়।


ঘটে দেয় ধান্য দূর্বা আর ফুলমালা,
ফলমূল মিষ্টি দ্রব্য প্রসাদের থালা।
চারিভিতে আলপনা যতেক প্রকার,
ঘৃত মধু গঙ্গা জল নানা উপাচার।


শুদ্ধ চিত্তে এঁয়োগণ বসিয়া আসনে,
বিধিমতে লক্ষ্মীপূজা করে একমনে।
শুদ্ধ বস্ত্র পরিধানা যতেক রমণী,
দেয় সবে উলুধ্বনি আর শঙ্খধ্বনি।


এস মাগো মহালক্ষ্মী আমাদের ঘরে,
আমাদের ঘরে থাক চিরদিন তরে।
শারদ পূর্ণিমা তিথি পূণ্য শুভক্ষণ,
কাব্য বিরচিল কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।


ওঁ শান্তি! শান্তি! শান্তি!