দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে ও আলাদা রীতিতে নববর্ষ উদযাপিত করে। উত্তর ও মধ্য ভারতে নতুন বছর বৈশাখী, আসামে রঙ্গালি বিহু, তামিলনাড়ুতে তামিল পুঠান্ডু, কেরালায় বিশু, ওড়িশায় বিশুব সংক্রান্তি এবং পশ্চিমবাংলায় পয়লা বৈশাখ নামে পরিচিত নববর্ষ উৎসব। বাঙালি ব্যবসায়ীরা নতুন আর্থিক বছরের সূচনা করেন এদিন লক্ষ্মী-গণেশ পুজো ও হালখাতার মাধ্যমে। খাওয়া দাওয়া, আড্ডা, মিষ্টিমুখ, নতুন জামাকাপড় পরা এই সবের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় বাঙালিরা।


বাঙালি ব্যবসায়ীরা নতুন আর্থিক বছরের সূচনা করেন এদিন লক্ষ্মী-গণেশ পুজো ও হালখাতার মাধ্যমে। আগের বছরের দেনা-পাওনার হিসেব সমন্বয় করে এদিন নতুন করে হিসেবের খাতা খোলেন তাঁরা। এই উপলক্ষ্যে নববর্ষের প্রথম দিনে দোকানে আসা ক্রেতাদের মিষ্টিমুখও করান তাঁর। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে হালখাতা উদযাপন। হালখাতা বাঙালি ঐতিহ্য ও ইতিহাসের একটি অংশ। খাওয়া দাওয়া, আড্ডা, মিষ্টিমুখ, নতুন জামাকাপড় পরা এই সবের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেন বাঙালিরা। বিশ্বব্যাপী বাঙালিরা নববর্ষের দিন একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান।


বর্ষশেষে নববর্ষ আগমন.........সবাকার হরষিত মন
শুভ নববর্ষ-১৪৩০ নববর্ষের কবিতা (ষষ্ঠ পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নতুন আলোকে ধরা অপরূপা মনোহরা
নববর্ষে রবির কিরণ,
তরুশাখে বসি পাখি উঠে কিচিমিচি ডাকি
পাখিদের মধুর মিলন।


নববর্ষে শিশুসব করে কত কলরব
মহানন্দে হাত ধরি নাচে,
নববর্ষে নব আলো চারিদিক লাগে ভালো
নয়ন দিঘির ঘাট কাছে।


নয়ন দিঘির ঘাটে হাঁসেরা সাঁতার কাটে
দিঘিজল ঝলমল করে,
নব বর্ষে রং লাগে হৃদয়ে পুলক জাগে
হাসি গান সারাদিন ধরে।


নববর্ষে নব রাগে ফুল ফুটে ফুল বাগে
গগনে অরুণ রবি হাসে,
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কয় নতুন সকাল হয়
বর্ষে বর্ষে নববর্ষ আসে।



*************************************
১৪৩০ বর্ষের প্রথম সূর্যগ্রহণের তারিখ- ২০ এপ্রিল বছরের প্রথম গ্রহণ দেখা যাবে। জ্যোতিষ মত বলছে, হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সূর্যগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭.০৪ মিনিট, আর তা চলবে ১২.২৯ মিনিট পর্যন্ত। যদিও জ্যোতিষগণনা বলছে, সূর্যকে সেদিন দেখা যাবে না।