আমাদের গাঁয়ে আছে এক নিধি-রাম বাঁশুরে,
বাঁশের বাঁশরী বাজায় নিত্য মধুর মিঠে সুরে।
চারিদিকে নামডাক, ভারি সুন্দর বাজায় বাঁশি,
যাত্রারদলে বাজিয়ে বাঁশি টাকা পায় সে বেশি।


সেদিন যখন নাটশালাতে হচ্ছিল পালা কীর্তন,
খোল করতাল বাজায় সবাই আনন্দেতে মগন।
এমন সময় বাঁশি হাতে এল সেথা নিধি-রাম,
বাঁশির সুরে ভুবন কাঁপে চলিছে কীর্তন-গান।


ধন্যি ধন্যি করে সবে বাঁশির সুরে পাগল মন,
মনের সুখে নিধি বাজায় বাঁশি করিয়া যতন।
খোল করতালি শব্দে যখন কান ঝালাপালা,
মধুর সুরে বাঁশি বাজে চিত্তে জাগায় দোলা।


মন মাতানো বাঁশির সুরে পরাণ পাগল করে,
ছন্দে ও গানে বাঁশির তানে চিত্ত ওঠে ভরে।