প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় পালিত হয় রাখী বন্ধন, হিন্দু ধর্মে ভাই বোনের ভালবাসার প্রতীক এই উৎসব। এই পবিত্র দিনে বোন ভাইকে রাখী বেঁধে দেয় এবং ভাই বোনকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শুভ সময়ে রাখী বাঁধার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বিষ্টিভদ্রার সময় রাখি বাঁধা উচিত নয়। রাখির দিন ভাইদের খুব যত্ন নেওয়া হয়।


রাখী বাঁধার পদ্ধতি:
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, রাখী বাঁধার সময় ভাইয়ের মুখ পূর্ব দিকে এবং বোনের মুখ পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত।
বোনেরা তাঁদের ভাইকে চাল সিঁদুরের টিকা লাগান।
ঘিয়ের প্রদীপ দিয়ে আরতি করেন, তারপর মিষ্টি খাওয়ানোর পর ভাইয়ের ডান হাতের কব্জিতে রাখি বেঁধে দেন।


পবিত্র রাখী বন্ধনের কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


রাখী বন্ধনের দিনে বোন আনে রাখী কিনে
পরাবে ভ্রাতার হস্তে তার,
ললাটে চন্দন ফোঁটা পান ও সুপারি গোটা
ফল মিষ্টি নানা উপহার।


ঘৃতের প্রদীপ জ্বলে উলুধ্বনি কোলাহলে
ঘন ঘন শঙ্খধ্বনি হয়,
বোন বলে দিই ফোঁটা যমের দুয়ারে কাঁটা
হস্তে রাখী বাঁধার সময়।


আজি পূণ্য শুভক্ষণে খুশি আজি ভাইবোনে
সারাদিন কেটে যায় বেলা,
কঙ্কন, নুপুর আর বহুমূল্য রত্নহার
রাশি রাশি উপহার মেলা।


পায়েস মিষ্টান্ন ক্ষীর আলু মটর পনির
লুচি আর সাথে রাজভোগ,
ভাইবোন প্রতি ঘরে একত্রে আহার করে
মিষ্টি পান করা হয় যোগ।


উত্সব ঘরে ঘরে হয় সারাদিন ধরে
প্রীতি আর প্রেমের বন্ধন,
বর্ষে বর্ষে আসে রাখী সব স্মৃতি মনে রাখি
কবিতায় লিখিল লক্ষ্মণ।