আর্তনাদের নদী বয়ে চলে শীতের শিশির ভেজা রাতে।
মৌনমুখর রাত্রি কাঁদে নীরব নির্জন শ্মশানঘাটে।
হাহাকারের পাহাড় জমেছে হাটে মাঠে পথে ঘাটে,
বুভুক্ষা মানুষের মৌন মিছিল প্রকাশ্য রাজপথে।
এই কামনার সাগরে ভাসে ভালবাসার মৃতদেহ,
নীরব নিঝুম স্তব্ধ দুপুরে ক্রন্দন করে কেহ,
ঘোমটা জড়ানো কৃষকবধূর প্রেম, প্রীতি আর স্নেহ,
হোগলা পাতার জীর্ণ কুটীরে বালকের খেলাগেহ।
মৃত্যুকবলিত গাঁয়ে থেমে গেছে মৃত্যুর কোলাহল,
অর্থপিপাসু ধনীদের দল হাসিতেছে খলখল,
অত্যাচারের চাবুক চালায় অত্যাচারীর দল,
চাবুকের ঘায়ে রক্ত ঝরে, চোখ ফেটে আসে জল।  
মানুষ হয়েছে অমানুষ আজ, মারে মানুষের বুকে ছুরি,
ব্যথা বেদনার সূতোয় গাঁথা হাসি কান্নার লুকোচুরি,
কামনায় রাঙা গোলাপ গাছে ফোটে না ভালবাসার কুঁড়ি,
বিদ্রোহ আজ কবিতার পাতায়, কাব্যের কড়া হাতুড়ি।