আশ্বিনের শারদ প্রাতে-
দিকে দিকে বেজে উঠেছে শংখধ্বনি।
নির্মল মেঘমুক্ত শরতের শুভ্র নীলাকাশ,
বাতাসে ছড়ানো শিউলি ফুলের সুবাস।
নদীর ধারে সাদা কাশফুলের বনে,
মৃদুমন্দ সমীরণ সানন্দে ঘোষণা করে-
আনন্দময়ী দেবী মহামায়ার
আগমনবার্তা। দেবী আসছেন -
কৈলাস থেকে মর্ত্তধামে।
ত্রিনয়নী দেবী দুর্গা,
দশভূজা দশপ্রহরণধারিণী
মহিষাসুরমর্দিনী মা আদ্যাশক্তি মহামায়া।
তাই বঙ্গবাসী আজ
সাজিয়েছে শারদ অর্ঘ্য।
ঢাকীরা ঢাক বাজায়।
মন্দিরে মন্দিরে বাজে কাঁসরঘণ্টা।
জ্বলে ওঠে ধূপদীপ।
সাজায় মঙ্গল ঘট ।
দুর্বা, ধান আর তুলসীপাতা।
ঘটে দিয়েছে আম্রপল্লব।
বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে
হয় তার আবাহন।
আনন্দে মেতে উঠে
সারা বিশ্বভুবন।
পূজো এসে গেল।
এল খুশির দিনে মনকে
রাঙিয়ে তোলার দিন।
এবার পূজোয় মেতে উঠবে
সারা বিশ্ববাসী।
বাঙালীর জাতীয় জীবনে
এই দুর্গাপূজা সার্বজনীন।
সুন্দর, শিব আর শক্তির আরাধনায়
মেতে উঠুক সারা মর্ত্তলোক-
বিশ্ব চরাচর আনন্দে গেয়ে উঠুক-
যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা ।
নমস্তেসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।
ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি!