(বাংলা কবিতা আসরের বিশিষ্ট কবি ও আমাদের পরম শ্রদ্ধেয়
কবির হুমায়ুন আজ অসুস্থ। গতকাল তাঁর আকস্মিক দূর্ঘটনায়
আমরা সকলেই মর্মাহত। কবির শোকাকুল পরিবারবর্গকে
সমবেদনা জানাই। আসুন, আজ আমরা সকলেই কবির সুস্থ জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনায় দেবী বন্দনায় রত হই।
সমবেত কন্ঠে করি দেবী আবাহনের স্তুতিমন্ত্রপাঠ।)


“কোথা তুমি শঙ্খ চক্র গদা পদ্মধারী ত্রিশূলধারিণী
দেবী ত্রিনয়নী দূর্গা দশপ্রহরণধারিণী!!
আদ্যাশক্তি মহামায়া দূর্গা দেবী দশভূজা।
বাংলা কবিতা আসবের সমস্ত কবিগন
তোমারে করি আহ্বান।
তুমি ওঠো, তুমি জাগো।
তুমি নেমে এসো কৈলাস থেকে
এই ধরাধামে পুনর্বার।
বাজাও তোমার প্রণব বিষাণ মহা হুংকারে,
মিলে যাক, মিশে যাক-
অনাচার, অবিচার, অধর্মের আছে যত ব্যভিচার,
সৃষ্টি হোক নতুন এক ধর্ম, নতুন এক সৃষ্টি,
নতুন এক শক্তি। হে শক্তিরূপিনী মাতা!
দেবী দুর্গা, দশভূজা,
মোরা সকলে তোমার করিব পূজা।
তুমি নেমে এস আমাদের কবিতা আসরের
কবিতার পাতায় পাতায়।
শরতের শিশির ঝরা সকালে
এ কোন বার্তা মোদের প্রাণ, মন আর
শরীরে জাগালো শিহরণ?
কবির হুমায়ুন আজ অসুস্থ।
তাঁর বেদনার্ত হৃদয়ের স্পন্দন
সুস্থ ও স্বাভাবিক হোক এই কামনায়
তোমারে পূজিব আজি মোরা সকল কবিগন।
সফল  হয়ে উঠুক অমাদের শক্তির আরাধনা।
কবির হুমায়ুন আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকুন।
এই হোক আমাদের সবার প্রার্থনা।
হে দেবী! তোমার স্নিগ্ধ আপ্লুত অমিয় স্নেহধারা
বর্ষিত হোক সকল কবিগন মাঝারে তথা
কবির হুমায়ুনের বেদনার্ত হৃদয়ে সিঞ্চিত হোক
তব সঞ্জীবনী বারিধারা। সন্তানকে
অভয় দাও মা আদ্যাশক্তি মহামায়া।
শরণাগত দীনার্ত্ত পরিত্রাণ পরায়ণে,
সর্বস্যার্তি হরে দেবি নারায়ণী নমোহস্তুতে।
ঔঁ দৌ শান্তি, অন্তরীক্ষং শান্তি, পৃথিবীঃ শান্তি।
শান্তিরাপ, শান্তি রোষধয়, শান্তি বনস্পতয়,
শান্তিঃ শান্তিরেব, শান্তিঃ সামা, শান্তি রেধি
ঔঁ আপদং শান্তি,
যত্র এবাগত পাপং তত্রৈব গচ্ছতু।
ঔঁ শান্তি! শান্তি! শান্তি !