পালকি চড়ে বর এসেছে
টোপর মাথায় দিয়ে,
সঙ্গে এসেছে বরকর্তা,
বরযাত্রীদের নিয়ে।


শাঁখ বাজায় মেয়েরা সব,
জোরে উলুধ্বনি দেয়,
শাঁখ বাজিয়ে উলু দিয়ে
বরকে বরণ করে নেয়।


বরের বাবা বরকর্তা
লোকটা সোজা নয়,
ছাদনাতলায় বসে সে
স্পষ্ট ভাষায় কয়।


“শুনুন শুনুন বেয়াইমশাই,
শুনুন আমার বচন,
বলি পনের টাকাটা মশাই
আমায় দেবেন কখন?”


শুনে কনের বাবা বলে
তখন জোড় হাত করে,
“বিয়ের পরে পনের টাকা
দেব আমি শোধ করে।”


“টাকা না দিলে মশাই,
হবে নাকো বিয়ে,
চললাম আমি বর আর
বরযাত্রীদের নিয়ে।”


কনের বাবা বলে তখন
“শুনুন বেয়াই তবে,
এই লগ্নে বিয়ে না হলে
মেয়ে যে লগ্নভ্রষ্টা হবে।”


কান্না দিয়ে জীবন গড়া
মুছে দাও গরীবের কান্না,
সোচ্চার কণ্ঠে বলো সবাই,
“পন দেব না, পন নেব না ।”


বি. দ্র. – পনপ্রথা  সামাজিক জীবনে জ্বলন্ত অভিশাপ।
পন দেওয়া বা নেওয়া দুটোই সামাজিক অপরাধ।
আসুন আমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
একযোগে সকলেই বলি-
“পন নেব না, পন দেব না।”