শীত এলো
শীত এলো,
বইছে হাওয়া
এলোমেলো।


রেলগাড়ি চলে
এঁকে বেঁকে,
ভোরের পাখি
উঠলো ডেকে।


সূর্য উঠেছে
পূব গগনে,
শিশুরা পড়ে
আপন মনে।


গাঁয়ের কিষাণ
যাচ্ছে মাঠে,
সারাদিন
ধান কাটে।


বুড়ো বুড়িরা
শীতের দিনে,
গায়ে দেয়  
শাল কিনে।


কাঠ দিয়ে
আগুন জ্বালায়,
দাওয়ায় বসে
আগুন পোহায়।


গাঁয়ের বধূ
উঠোন ঘরে,
কাঠের জ্বালে
রান্না করে।


ঢুকছে বেড়াল
জানলা দিয়ে,
তাড়াও তারে
লাঠি দিয়ে।


গরুর গাড়ি
চলছে জোরে,
সরানে লাল
ধূলো ওড়ে।


গাঁয়ের বাউল
মেঠো পথে,
গান গেয়ে যায়
একতারাতে।


পাড়ার ছেলে
স্নানের পরে,
রোদ পোহায়
পুকুর পাড়ে।


হীরু দাসের
বেড়ার ধারে,
ছাগল ভেড়া
বেড়ায় চরে।


গরু বাছুর সব
চরে ডাঙায়,
গাঁয়ের রাখাল
বাঁশি বাজায়।


দিনের শেষে
সুর্য ডোবে,
পাখিরা সব
বাসায় ঢোকে।


সন্ধ্যে হলো
নামলো আঁধার,
আঁধার কালো
গাঁ চারিধার।


পথের বাঁকে
শেয়াল ডাকে,
পাহারাদার
জোরে হাঁকে।


জোরে হিমেল
হাওয়া বয়,
রাতের শেষে
সকাল হয়।