আমি চেনা পৃথিবীর অচেনা এক কবি।
আমার কবিতায় আমি আঁকি ভাই, আমার গাঁয়ের ছবি।


মোর গাঁয়ের পাশে অজয় নদী কুলু কুলু বয়ে চলে।
পার হয়ে যায় গরুর গাড়ি বৈশাখ মাসে হাঁটু জলে।
আমার গাঁয়ে অজয় নদী, বয়ে চলে বারো মাস,
বর্ষার জলে ফুলে ওঠে নদী, চাষীরা করে চাষ।


আমি চেনা পৃথিবীর অচেনা এক কবি।
আমার কবিতায় আমি আঁকি তাই, আমার গাঁয়ের ছবি।


আমার গাঁয়ের নদীর দু’ধারে শরতে কাশফুল ফোটে,
পূজার খুশীতে মেতে ওঠে পাড়া, ঢাকের শব্দ ওঠে।
আমার গাঁয়ের চাষীরা সকালে, প্রতিদিন যায় মাঠে।
মাঠে তাদের বেলা কেটে যায়, সারাদিন ধান কাটে।


আমি চেনা পৃথিবীর অচেনা এক কবি।
আমার কবিতায় আমি এঁকে যাই, আমার গাঁয়ের ছবি।


আমার গাঁয়ের কামার ভায়েরা, দেখি কামার শালায়।
দিন রাত জোরে হাতুড়ি চালায়, পোড়া পেটের দায়।
আমার গাঁয়ের কুমোর ভায়েরা, কাঠের চাকা ঘোরায়,
মাটি দিয়ে মাটির কলসী বানায়, তুলনা যে তার নাই।


আমি চেনা পৃথিবীর অচেনা এক কবি।
আমার কবিতায় আমি এঁকে যাই, আমার গাঁয়ের ছবি।


আমার গাঁয়ে রোজ সকালে সূর্য ওঠে লাল হয়ে।
গাঁয়ের বাউল গান গেয়ে যায়, একতারা হাতে নিয়ে।
আমার গাঁয়ে দিনের শেষে, পশ্চিমপানে সূর্যি ডোবে।
কবির জীবন আঁধারে ভরা, নতুন সকাল আসবে কবে?


আমি চেনা পৃথিবীর অচেনা এক কবি।
আমার কবিতায় আমি এঁকে যাই, আমার গাঁয়ের ছবি।