আমার গাঁয়ে পূব গগনে, প্রতিদিন সূর্য ওঠে,
বাগানের ফুলগুলি সব, রোজ সকালে ফোটে।
আমার গাঁয়ের পাঠশালাতে শিশুরা সব পড়ে,
গাঁয়ের পথে গোরুর গাড়ির, লাল ধূলো উড়ে।


আমার গাঁয়ে, রোজ সকাল হলে, পদ্ম দিঘির ঘাটে।
সারি বেঁধে, রাজহাঁসের দল, দিঘিতে সাঁতার কাটে।
আমার গাঁয়ের, বাঁশবাগানের, সরু গলিপথ দিয়ে,
নাইতে আসে মেয়েরা সব, কলসি কাঁখে নিয়ে।


আমার গাঁয়ের চাষীরা সব, মাঠে মাঠে করে চাষ,
মাটিতে ফলায় সোনার ফসল, সুখে থাকে বারোমাস।
গাঁয়ের রাখাল, নিয়ে গরুপাল, বাজায় বাঁশের বাঁশি,
ধানের খেতে, উপছে পড়েছে, সোনা ধানের হাসি।


আমার গাঁয়ের তাঁতীরা সব, বোনে ধূতি আর শাড়ি,
গাঁয়ের কুমোর, মাটি দিয়ে গড়ে, মাটির কলসি হাঁড়ি।
কামার ভায়েরা, হাপর চালায়, বসে কামারশালায়।
পেটের দায়ে, ঠকা ঠাঁই ঠাঁই, জোরসে হাতুড়ি চালায়।


আমার গাঁয়ে সুর্য ডোবে, পাহাড় চুড়োর মাঝে,
মন্দিরে বাজে কাঁসর ঘণ্টা, সাঁঝের সানাই বাজে।
এই গাঁ আমার মাতৃভূমি, গাঁ আমার, মাটি আমার,
পরজন্মে যেন ফিরে আসি, এই গাঁয়েতে আবার।