গাঁয়ের মেঠো পথের বাঁকে, অজয় নদীর ধারে,
ময়না চড়ুই, শালিক বাবুই, উড়ছে সারে সারে।
নৌকা বাঁধা ঘাটের কাছে, জেলেরা মাছ ধরে,
গাঁয়ের সীমানায়, সবুজ ডাঙায়, গোরু বাছুর চরে।


গ্রাম ছাড়িয়ে, পথের বাঁকে, ঘুঘু পাখি ডাকে,
হনুমানটি, ল্যাজ ঝুলিয়ে, গাছে বসে থাকে।
সবুজ গাছের শীতল ছায়ায়, ক্লান্ত পথিক বসে,
দুই ধারে দুই, মাঠের পরে, চাষী লাঙল চষে।


কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূ, জল নিয়ে যায় ঘরে,
আদুল গায়ে, ছেলে দুটো, হাঁটছে গামছা পরে।
পথের দুধারে, সারি সারি, তাল খেজুরের গাছ,
পদ্ম দিঘির জলে লাফায়, রুই ও কাতলা মাছ।


সন্ধে হলে আঁধার নামে, ক্লান্ত ও নির্জন গাঁয়ে,
পাহারাদার, মশাল জ্বালায়, গাজনতলার বাঁয়ে।
আকাশজুড়ে তারা ফোটে, চাঁদের আলো ঝরে,
রাতি নির্জন, ঘুমায় সবাই, বাংলার ঘরে ঘরে।