আমার গাঁয়ে রেজ সূর্য ওঠে পূবে সকাল হলে পরে,
সব শিশুগণ পাঠে দেয় মন নিজ নিজ পড়া করে।
কুসুম কাননে মধু আহরনে চলে অলি সারি সারি,
লাল ধূলোবালি উড়ায়ে সরানে, চলিছে গোরুর গাড়ি।


গাঁয়ের বধূরা, কলসী কাঁখে দিঘিতে জল আনিতে যায়,
লাল পাড় শাড়ি পরণে তাদের দিয়েছে ঘোমটা মাথায়।
তাল খেজুরের গাছে গাছে দেখি পাখিরা গাহিছে গান,
আমের শাখে কোকিল ডাকে, ভরে ওঠে মন ও প্রাণ।


কামার শালায় হাতুড়ি চালায়, এ গাঁয়ের কামার ভাই,
সকাল হতে দেখি কাজ করে ওরা, ঘর্ম ঝরিছে গায়।
গাঁয়ের কুমোরভাই মাটি দিয়ে গড়ে মাটির কলসী হাড়ি,
গাঁয়ের তাঁতি ভাই, তাঁত চালিয়ে বোনে ধূতি আর শাড়ি।


কর্মক্লান্ত গাঁয়ে আঁধার আসে নেমে, সন্ধ্যা হলে পরে,
জ্বলে ওঠে দীপ সাঁঝের বেলায়, বাংলার ঘরে ঘরে।
মন্দিরে বাজে কাঁসর ঘণ্টা, শংখ-ধ্বনি ভাসে বাতাসে,
নিঝুম রাতে, চাঁদ তারা হাসে, সুন্দর নীল আকাশে।