বৈশাখের রুদ্র দাবদাহে
আমগাছে কোকিল গাহে
                      তপ্ত রোদে উত্তপ্ত ধরণীর ধূলি,
পাড়ার পদ্ম-পকুরে,
রোদ্র ভরা দুপুরে,
            জলে সাঁতার কাটে হাঁসগুলি।
পাড়ের উঁচু তালগাছে,
বাবুই পাখি বসে নাচে,
         যত্ন করে আপন বাসা বাঁধে,
ক্লান্ত পথিক পথ চলে,
কভু বসে গাছের তলে,
           আদুল গায়ে গামছা লয়ে কাঁধে।
নৌকা বাঁধা নদীর ঘাটে,
চাষীরা মাঠে তরমুজ কাটে,
          হাঁটুজলে পার হয় গোরুর গাড়ি,
নদীর ঘাট খালি খালি,
চিক চিক করে বালি,
            নদীপাড়ে বক ওড়ে সারি সারি।
নদীতটে আছি একা বসে
গাছের পাতা পড়ে খসে,
           অলস বিষণ্ণ এই দুপুর বেলা।
পাড়ে বসে চকা চকি
একে অন্যরে ডাকি,
            আনমনে বসে করিছে খেলা।
পথের পাশে কুকুরগুলি,
ঘেউ ঘেউ করে উড়ায় ধূলি
            গোরু মোষ স্নান করায় ডোবায়,
রোদ্র যেই আসে পড়ে,
রামায়ণ পাঠ নাটমন্দিরে,
            দিনের শেষে ঐ সূর্য ডুবে যায়।
বেলা ডোবে সন্ধ্যা হলে,
দীপ জ্বলে তুলসী তলে,
             সন্ধ্যা আসে নামে অন্ধকার।
পাড়ার মন্দির মাঝে,
কাঁসর ও ঘণ্টা বাজে,
               ভেসে আসে শংখের ঝংকার।