ফোটে ফুলকলি বহিছে সমীর
প্রভাত সময় কালে,
করিছে কূজন প্রভাত পাখিরা
বসিয়া গাছের ডালে।


দিঘিতে ফোটে কুমুদ কমল
মরাল জলে ভাসে,
বাগানে ফোটে টগর বকুল
গগনে অরুণ হাসে।


গাঁয়ের রাখাল নিয়ে গরুপাল
তরুছায়ে করে খেলা,
গাঁয়ের চাষীরা লাঙল চালায়
আসে ফিরে সন্ধ্যাবেলা।


পান্থ পথিক আদুল গায়ে
ছাতা নিয়ে পথে চলে,
নির্জন দুপুর অলস বিবশ
শঙ্খচিলের কোলাহলে।


শান বাঁধানো পুকুরঘাটে
ধোপারা কাপড় কাচে,
বীর হনুমান ল্যাজ ঝুলিয়ে
বসে থাকে বটগাছে।


বিকেল হলেই বেলা পড়ে
সূর্য্যি ডোবে আঁধার নামে,
ক্লান্ত পাখিরা বাসায় ফেরে
প্রদীপ জ্বলে সারা গ্রামে।


না ফোটা ফুলের কলিরা
সবাই ঘুমায় ক্লান্ত হয়ে,
রাতের রজনীগন্ধারা জাগে
শত দুঃসহ ব্যথা সয়ে।


রাত কেটে শেষে সূর্য ওঠে
পূব আকাশের কোনে,
বহে সমীরণ, পাখীর কূজন
ফুল ফোটে বনে বনে।