আমাদের ছোট গাঁয়ে আছে ছোট ছোট মাটির বাড়ি,
গাঁয়ের পথে পুকুরপাড়ে আছে তাল খেজুরের সারি।
গাঁয়ের পাশ দিয়ে অজয় নদী বয়ে চলে অবিরাম,
গাছের সবুজ ছায়ায় ঘেরা আমাদের এই ছোট গ্রাম।


গাঁয়ের প্রান্তে বটের তলায় আছে শ্রীজগন্নাথের রথ,
গাঁয়ের মাঝে চারপাশে তার আঁকা বাঁকা গলি পথ।
আমবাগানের ভিতর দিয়ে আকাঁ বাঁকা গলি পথে,
কলসীকাঁখে গাঁয়ের বধূরা আসে রোজ জল নিতে।


পদ্ম দিঘির কালো জলে রোজ ছেলেরা সাঁতার কাটে,
পানকৌড়ি রোজ ডুব দিতে আসে পানাপুকুরের ঘাটে।
গাঁয়ের জেলে মাছ ধরে পুকুরেতে রোজ জাল ফেলে,
শংখচিল উড়ে চলে আকাশের গায়ে দুটি পাখা মেলে।


আমাদের গাঁয়ের মাঝখানে আছে নাটশালা চালাঘর,
সন্ধ্যায় খোল ও করতাল বাজে বসে কীর্তনের আসর।
বাঁশ বাগানের মাথার উপর দিয়ে উঠে চাঁদ আর তারা,
পাহারাদার লণ্ঠণ হাতে রোজ সারা রাত দেয় পাহারা।