আমার গাঁয়ে গাজনতলা চণ্ডী মণ্ডপের ঘর,
গাঁয়ের পাশে অজয়নদী বয়ে চলে নিরন্তর।
আলুখেতের আলের উপর বসে ফিঙেপাখি,
দিঘির ঘাটে কাকেরা সব করে ডাকাডাকি।


পথের বাঁকে বেড়ার ধারে ছাগলভেড়া চরে,
আঙিনাতে ছোট শিশুরা দৌড়া-দৌড়ি করে।
কূয়োতলায় বাসন মাজে আমার গাঁয়ের বধু,
পথেরমাঝে গরুগুলো উড়ায় ধূলোবালি শুধু।


খেতের আলে বেড়ায় চরে রাঙীগাইয়ের বাছুর,
রাখাল বসে বাজায় বাঁশি,ভাসে বড়ই মিঠে সুর।
ধবল বলাকা মেলে পাখা উড়ে যায় আকাশেতে,
ঢাক বাজে সকাল-সাঁঝে শিশুরা সব ওঠে মেতে।


গাঁয়ে সাঁঝের বেলায় প্রদীপ জ্বলে তুলসী তলায়,
নীল আকাশে চাঁদতারা হাসে ফুটফুটে জোছনায়।