পুরাণ-পুঁথি আজ তোমায় না হয় রাখলাম
পাশে সরিয়ে ! শিশির , দেখছি আজ তুমি
বেশ আসর জমিয়ে বসেছো তৃণের বুকে ;
গন্ধটা সুবাসিত করছে চন্দন-ধূপ ! কিন্তু ,
কেন এতো আয়োজন ? সুদূরে উঠছে উলু-
শঙ্খ ধ্বনি - ! হে কলম তুমি কেন গুমরে
মরছো ? ক্যালেন্ডার-পাঁজির ক্ষুদ্র ছবি
দিচ্ছে খবর নাকি আজ " ভাতৃ-দ্বিতীয়া "!
আমার কপালেও উঠবে দীর্ঘায়ুর প্রলেপ !
এই মেয়েটা তুই বাঁচতে চাইবি না ? তোর
ফোঁটা কী যম দেবে চিতার অঙ্গার ? আয়
তবে আমার বানানো পুরাণ খানিতে পৃষ্ঠা
খুলে লিখি " বোন-ফোঁটা " !
পুরুষ কী মজা বলতো ! যুগ যুগ ধরে ,
আয়ু-বংশ-ধর্ষন এটাই কী করেছিলো
কামনা অ্যাসিড-আগুন পোড়া নারীরা ?
শিশির-চন্দন-ধূপ তোমার লিঙ্গ কী আমি
জানি না ! তবে , আজ না হয়ে টুপটাপ
ছন্দে তারাদের বুক থেকে তুমি ঝরে পড়ো !
যাক , কেউ কী বলবে আমার সাথে -
" বোনের কপালে দিলাম ফোঁটা -
যম আসলে তুই , ভাঙবো মাথা ।।