ঘুমের দেশে পাড়ি দেওয়ার
আগে যদি পাইতাম দেখিতে –
নামহীন দ্বীপে তোমার সঙ্গে
সহবাস হত । আর ঔরসে ধীরে ধীরে
পালিত বীর্যবান সন্তান মনে করিয়ে
দিত পৃথিবীর ইতিহাসকে ।


বৃষ্টির প্রতি কণার নাম না জানা
ভূমির অপরাগ । গভীর স্নেহে গর্ভে
তার শত-লক্ষ-কোটি জননীর
হওয়ার অসামান্য আত্মগৌরব ।
কলঙ্কিনী ধরার তবু নাহি যায়
স্মিত হাস্য , মনে করিয়ে দেয়
তার সিন্দুরহীন হওয়ার সম্মান ।


ক্লান্ত হইলে এসো আমার শুষ্ক ওষ্ঠে ,
হৃদয়ের আজান তখনও শোনাবে
অস্তগামী সাত অশ্বরথীর বীর গাথা  ।


দূরের বলাকা মেলিয়াছে পাখা তাদের
সুদূরের পথে -। পালকে দেখা
দিবে কর্দমাক্ত সৌর কিরণের
প্রতিবিম্ভ ।


রাজন তুমি , যাও কোথা ?
নিবে না কি সাথে তব পিতৃ পরিচয় !
নাই বাঁ হল মন্ত্রপূত বৈদিক ধ্বনি –
অস্বীকার করিলেও বৃষ্টির কাছে
পরিচয় দিব তোমার ছুঁড়ে ফেলা
ক্ষণিক ভালোবাসার জৈবিক চিহ্ন ।।