প্রিয়তমা! কেমন আছো তুমি?
আজ বড্ড মনে পড়ছে তোমায়,
মনে পড়ছে হারানো দিন গুলোর কথা,
তাই এসেছি আজ তোমার পছন্দের জায়গায় ।
জানো! আমি সেখানে বসে আছি
যেথায় তোমার চরণ করতো নৃত্য, আর!
ঐ নৃত্য তালে ঝুমুর শব্দে নূপুর বাজিতো।
আজও এই ফুল বনে অলি রা খেলা করে,
আজও পুষ্প গুলো ঘ্রাণ ছড়িয়ে মানুষকে মুগ্ধ করে।
কিন্তু আজ তুমি নেই সে কাননের ছায়ায়,
যেন চারিদিকে শূন্যতা করছে বিরাজ
কি বলবে দিশা নেই তার বোবা মন বড্ড অসহায়।
এই সেই বৃক্ষের মূলে তুমি কোন এক ভুলে,
পায়ের একটি নূপুর রেখে গিয়েছিলে।
আমি তা খুঁজে পেয়ে অতি যত্নে রেখেছিলাম
তোমায় ফিরিয়ে দেব বলে,
পরের দিন নূপুর টা হাতে নিয়ে গেলাম তোমার বাড়িতে,
দেখলাম নব বধূ সেজে বসে আছো বিয়ের পিড়িতে।
বর আসিলো পাশে বসিলো একটু পরেই তুমি যাবে চলে।
আমি তোমার দেওয়া সেই রুমাল দিয়ে
আজও সে নূপুর জড়িয়ে তুলে রেখেছি যত্নে,
তুমি কি শুনতে পাচ্ছো আমার কথা গুলো?
জানি শুনতে পাচ্ছো না,কি করবো বলো?
মনকে আমি কিছুতেই বোঝাতে পারছিনা।
যদি বলি ওরে মন করিস নে রোদন,
কার জন্য বৃথা কাঁদিস সে তো আর নেই আপন।
শোনে না, বুঝতে ও চাইনা, অসহায়ের মত
চেয়ে আছে শুধু তোমার প্রতীক্ষায়,
ফিরিয়ে দেব তোমার নূপুর, যদি কখনও সুযোগ আসে,
সেই আশাতে পথ চেয়ে রই এখনও বারো টা মাসে।