একটি নতুন সকাল-এর প্রত্যাশায়
-আবুল খায়ের
৩০-০৬-২০১৭


আমাদের সংগ্রাম, আমাদের আত্মত্যাগ
বঞ্চিত জনতার অধিকার আদায়ের
দ্রারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, দূর্নীতিমুক্ত
সমাজ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে
শোষণমুক্ত শাসকের রক্তচক্ষুকে
অগ্রাহ্য করে-যুদ্ধ করছি আমরা প্রতিনিয়ত
ক্ষুধার্থ’র মুখে খাদ্য তুলে দিতে।
আমরা তো এমন একটা সমাজ চাই
যেখানে মেঘমুক্ত আকাশে
পাখিরা উড়ে বেড়াবে, খেয়ালখুশি মতো
ফিরে আসবে নীড়ে, কোন বাধাহীন
পথ পরিক্রমায়।
চিকিৎসা নিতে এসে ভ‚ল চিকিৎসায় মারা যাবে না কেউ
উৎকোচ দিতে হবে না স্কুল-কলেজে ভর্তির,
অর্থের অভাবে পড়ালেখা অসমাপ্ত, মন অসাড়
জীবনের চাঁকা ঘুরাতেই ব্যস্ত, শরীর কঙ্গালসার।
কেউ আবার বিনা খরচে পড়া-লেখা করবে
চাকুরীতেও পাবে অগ্রাধিকার,
কিংবা অপরাজনীতির সাথে আপস করে
হাতে তুলে নেবে দেশের শাসনভার।
কিন্তু এমন যদি হতো-
মেধার মূল্যায়ন সাপেক্ষে বিনা খরচে-
সুযোগ পাবে নামী-দামী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাথীরা।
পড়ার খরচ যোগাতে দরিদ্র পরিবারে কর্তাদের
ভাবতে হবেনা, করতে হবে না কোনরূপ কর্জ,
প্রশ্ন আউট হবেনা, করবেনা অনিয়ম, দলাদলি
কোনক্রমেই শিক্ষকরা হবেনা নিলর্জ।
গ্রাম্য বধুরা নিবিঘেœ কলসি নিয়ে নদীতে যাবে
কলসি ভরা পানি নিয়ে ফেরত আসবে
মেয়েরা নির্ভয়ে স্কুল-কলেজ থেকে
বাড়ী ফিরবে, ইভ্টিজিংতো দুরে থাক
ভ‚লেও কেউ তাকাবেনা চোখ তুলে,
দেখাবে সম্মান মায়ের জাতি বলে।
প্রয়োজন হলেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়বে নারী’রা
কেউই তাদের আটকাতে পারবে না
রোধ করতে পারবেনা গতিপথ।
কৃষাণ লাঙ্গল নিয়ে যাবে মাঠে
জেলেরা মাছ ধরবে, ফেলবে জাল হাওরে
ব্যবসায়ী যাবে বাণিজ্যে, সিন্দাবাদের মতো
পণ্য নিয়ে দেশ দেশান্তরে,
করবে না কেউ চাঁদাবাজি।
নববধু গরুগাড়ী চড়ে, ‘নাইউর’ যাবে বাপেরবাড়ী
রসমালাই, মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে
জামাইবাবু যাবে শশুরবাড়ী।
দেশ আবার হবে স্বাধীন-
পূর্বাকাশে একটি নতুন সূর্য
অপেক্ষায় আছে-
কখন ফিন্কি দিয়ে রোদ ওঠবে
একটি নতুন সকাল-এর প্রত্যাশায়।