আঁধার রাত্রির পৃথিবীতে পড়ে আছে
নিথর স্তব্ধ হয়ে সহস্র ভিন্ন প্রকৃতির জীব,
গৃহ থেকে বেরিয়ে লক্ষ্য করে দেখতে পাই
কালো জলদের আবরণে ঢেকে গেছে গোটা অম্বর।
যেভাবে জ্বলন্ত উত্তাপের ওপর বরফ রেখে দিলে
অনায়সে সেই বরফ গলতে শুরু করে,
প্রচন্ড গ্রীষ্মের অনুভূতি তার বুকের মাঝে চেপে রেখে
ঠিক তখনি বলাহকের বরফ গলে বৃষ্টি আসে।
খোলা দ্যুলকের বুকে দেখা গেলনা বিধু
বৃষ্টির ঝম-ঝম শব্দের তালে ছন্দ হারায় বন,
রাতে র্নিজন পথের ধারে চপলার আলোকে দেখি
পেয়ারার ডালে বসে বৃষ্টিতে ভিজছে একটি বিহঙ্গ।
সদনের উত্তরে আম বাগানের পাশে টিউবঅয়েল
বৃষ্টিতে ভিজে বুকে অক্লান্ত কান্না নিয়ে নিশ্চুপ!
ঝোড়ো অনিলে বৃষ্টির ধাক্কা এসে লাগে
ক্ষিতির তৈরি ছোটো কুঁড়ে ঘরেরর দরজায়।
ঝড়ের প্রকপে দরজাটা বারে-বারে বন্ধ হয়
খড়ের চালাগুলো বৃষ্টিতে স্নান করে কাঁদে!
পাদপের শাখা প্রশাখা গুলো প্রলয়ের প্রকপে
ধাক্কা খেয়ে বারে-বারে যেন ঢলে পড়ে মৃত্তিকায়।
কুঁড়ে ভবনের দেওয়ালকে আলিঙ্গন করে বৃষ্টি
যেন ছিড়ে বের করতে চায় হৃদয়ের কঙ্কাল!
নিভে যাওয়া উনুন প্রতিক্ষণে কাঁদতে থাকে
মেঝের মাটি ভিজে থাকে ছোট্ট রান্নাঘরে।
ধীরে-ধীরে অম্বুদের গর্জন কমে যায়
জোরালো গন্ধবহ আর বৃষ্টি বিশ্রাম নিতে চায়,
রাতের মধ্যপ্রহরে টুপটাপ বৃষ্টির সাথে শুনি
ফাঁকা পথে দ্রুত গতিতে ছুটে যায় মোটর গাড়ি।


রচনাকালঃ- ০৩/০৬/২০১৭