মেঘ বালিকা,
অস্তিত্বের দুঃসহ পথ চলতে-চলতে
দীর্ঘশ্বাস ফেলে দাঁড়িয়েছিলাম একা,
শূন্যতার আঘাতে নিশ্বাস হলো রুদ্ধ!
তুমি এলে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে।


ছলনা করে!
জ্বালালে আঁধার মনের অঙ্গনে আলো
হৃদয়ে জাগালে বেঁচে থাকার আশা,
সহস্র সাজানো গল্পের ফাঁদে ফেলে
তুমি মায়াবী রমণীর পরিচয় দিলে।


সবি ছিল মিথ্যে!
এইতো সেদিন, তুমি আমায় বললে-
পৃথিবী বদলে গেলেও তুমি বদলাবেনা,
ভাঙ্গা ইটে গড়লে ক্ষণিকের বন্ধুত্ব?
চাহিদার শেষে করলে চূর্ণ-বিচূর্ণ!


নাটকীয় ভাবে,
তুমি বললে যতক্ষণ থাকবে প্রাণ
যতদিন ভুবনে থাকবে চন্দ্র সূর্য,
চিরকাল অমর থাকবে মোদের মিত্রতা
তুমি কখনো ছেড়ে যাবেনা আমায়।


তবে কেন?
তুমি আমার জীবনে এলে-
কোন প্রয়োজন ছিলনা ক্ষণিকের সুখ,
নিজ হাতে হত্যা করলে আমার স্বপ্ন!
আজ ভেঙ্গেগেল চিরতরে আস্থা।


আমি মূল্যহীন!
তাই অমাবস্যার আঁধারে ঠেলে দিয়ে
তুমি জ্বালালে অন্যের ঘরে কিরণ,
নিমেষে বদলে গেল আমার জগত
কোথায় যেন থমকে দাঁড়াল আয়ু।


অথচ আজ,
বিশ্বাসী মনে যন্ত্রণার বিষ ঢেলে!
অন্যকে উপহার দিলে রক্তিম গোলাপ,
আমি দুঃখবাদী বিরহের সমুদ্রে ভাসব
তুমি সুখে থেকো তোমারি মত।


রচনাকালঃ- ২০/১১/২০১৭