জেগেছি ক্ষপায় নিদ্রাহীন নয়নে
চন্দ্রমার নীলে মিশেছে শতদল,
অতিক্রম করে সেই দুরূহ বর্ত্ম
ভেসেছি নীল সিন্ধুর মাঝে।


তোমার শীতল কিরণের স্পর্শে
হয়েছি যেন এক মাতাল ভ্রমর!
নিয়তির গড়া বন্ধ প্রাচীর ভেঙে
পার করেছি ওই উচু শৃঙ্গী।


তুফানি পারাবারে দেখেছি তোমায়
শুনেছি করুণ কণ্ঠে কান্নার সুর!
ছিলে তুমি সহস্র হায়ন বন্দি
আর এখন একফালি মুক্ত নিশ্বাস।


আমার চূর্ণ বিচূর্ণ চিত্তের গভীরে
বারে বারে দেখতে পাই তোমায়!
বিজন কুঞ্জের মাঝে ছিলে একাকী
বিধুর প্রভায় ভেজা অঙ্গ নিয়ে।


তুমি নীলাদ্র প্রাণের রক্তিম মাধবী
দাঁড়িয়ে আছো প্রাচীন কাল থেকে,
এখনও রক্তান্বেষী দানব আসে
প্রতি নিশিতে স্থৈয্র্যের বুক চিরে!


প্রলয়ের পথ ধরে দল বেঁধে
নির্মম ভাবে হত্যা করে যাই!
অনলে পুড়িয়ে দাহ করে অস্তিত্ব
তীক্ষ্ণ দাঁতে দংশায় গহনের লতা!


দিশাহীন অতীত এখনও ভাসে
তাদের লাল বর্ণের শোণিত মুখে!
অনেক দিন পর দেখেছি তোমায়
বিনীদ্র রজনীর জ্যোৎস্নার নীলে।


সময়ে সভ্যতার ইমারত ভাঙে
তবু তোমার শরীর মৃগাঙ্ক মাখে,
প্রাণ বলির রূধিরে স্নাত তুমি
তবু আছো একিরকম নীরব নিভৃত!


রচনাকালঃ- ৩০/০৭/২০১৭