গ্রামের শেষে সবুজ বৃক্ষ দিয়ে ঘেরা শালবনে
প্রকৃতির প্রেমের এক অপরূপ দৃশ্য ফুটে ওঠে,
পথ চলা এক কিশোরীকে আলিঙ্গন করে
পাখিডাকা ভোরে মিষ্টি মিহিরের প্রভা।
সবুজ ঘাস মাড়িয়ে সে নীরবে হেঁটে চলে
কান্তার পার হয়ে যেতে চায় দূর-বহুদূর!
তাইতো তার এক মুহূর্ত থামার সময় নেই
হাঁটছে ধান ক্ষেতের শক্ত আলের ওপর দিয়ে।
তার দুহাতে রয়েছে লাল রঙের কাঁচের চুড়ি
নগ্ন পায়ে বেজে ওঠে একজোড়া নূপুরের শব্দ,
মাথার খোলা অলক শান্ত মিছিলের ভিড়ে নীরব
আর শীতল সমীরে উড়ে তার নিল ওড়না।
প্রাচীন কালের মৃত্তিকার স্তূপ ভেদ করে
হাতে একটি রঙ্গনের সাজি নিয়ে হেঁটে চলে,
ধীরে-ধীরে বেলা বাড়ে প্রকৃতির নিয়মে
গগনের বুক চিরে বয়ে যায় তপ্ত গন্ধবহ।
প্রকৃতির হাত ধরে হেঁটে চলে ক্লান্ত কিশোরী
বট- পাদপের ছায়ার মঝে খুঁজে পাই শান্তি পরশ,
মাতাল বৈশাখে নভোঃ থেকে প্রলয় নামে
বাতাসের ধাক্কায় নয়নপত্র আছড়ে পড়ে।
কোকিলের মন মুগ্ধকর সুমধুর কণ্ঠে গান
নিদ্রা ছড়ায় কিশোরীর ক্লান্ত আবেগের মাঝে,
হঠাৎ করেই উঠে বসে ঘুমহারা নেত্রে
স্বপ্ন ভাঙার বেদনায় কাতর তার আবেগী মন!
বাস্তবতার ভুবনকে কল্পনায় এঁকে দৃষ্টিবদ্ধ করে
প্রাচীন কোনো অনুভবের এক অজানা চিত্র,
ক্লান্ত কিশোরীর পা কখনো থেমে থাকে না
হেঁটে যায় নিঃসঙ্গতার স্বপ্নের রাজপুত্রকে খুঁজতে!
মানুষের ভিড়ের মাঝে খুঁজে ফিরে অনন্ত সুখ
অবুঝ কিশোরী আজও বোঝেনা প্রকৃতির প্রেম!
প্রতীক্ষিত প্রেমিকের চোখে খোঁজে ভালোবাসা
প্রতিনিয়ত নীরবতার বুকে খোঁজে শান্তি।
কল্পনার জগতের থেকে বাস্তব অনেক কঠিন
সত্যের আয়নার সামনে নিজেকে দেখেনা কেউ!
জানিনা মানুষ কেন ভুলে যায় অমর প্রেম
কিন্তু প্রকৃতি যে ভোলেনা মনে রাখে সব কিছু।


রচনাকালঃ- ২৩/০৫/২০১৭