আমার অনুপ্রেরণার প্রথম ধাপ এবং আমার প্রিয় কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, এই কবিতাটি আমি তাঁকে উৎসর্গ করলাম।
--------------------------------------


দুঃখীনি জননীর কোলে জন্ম
নিয়ে ভুবনের বুকে তুমি এলে,
পরাধীন দেশে বিদ্রোহী কন্ঠে
মানব সমাজের জাগরণ ঘটালে।
অসীম জ্ঞান শিক্ষার অধিকারী
তুমি ছিলে গনমানুষের কবি,
তুলে ধরেছো অসহায়-জর্জর
মানুষের সুখ দুঃখের ছবি।
তোমার লেখা সব কবিতা
পেয়েছে দেখ কত উচ্চস্থান,
যাবতীয় শোষণ বঞ্চনার বিপক্ষে
তোমার ছিল দৃঢ় অবস্থান।
সে যুগের কিশোর কবি হয়ে
এসেছিলে তুমি ওগো সুকান্ত,
আমার হৃদয়ে বন্দী রেখেছি
তোমার প্রতি ভালবাসা অফুরন্ত।
তোমার কাছে থেকে পেয়েছি
অনেক জ্ঞান আর অনুপ্রেরণা,
পেয়েছি আমি কিশোর বয়সে
কবিতা লেখার এমন ভাবনা।
জীবনের দুরহ পথের সঙ্গী
বিরহ থাকে অটুট মিত্র!
শত রূপে শতবার আমার
অন্তরে এঁকেছি তোমার চিত্র।
কবিতা লিখেছো ছন্দের তালে
যেন নিশি পূর্ণিমার সুধাকর,
দেখিয়েছো মানব জাতিকে সঠিক
পথের দিশা হয়ে দিবাকর।
তোমার কবিতা বাংলার বুকে
সাহসী করে প্রতিটি স্তরে,
চলব আমি আগামী দিনে
কঠিন পথ অবলম্বন করে।
সবুজ মর্তের মৃত্তিকা চিরে
তারুণ্যের শক্তি দিয়ে লড়বো!
আগমন ঘটবে শুভ দিনের
আগামীতে সুন্দর বাংলা গড়বো।
দেখবে জাতি কলমের ক্ষমতা
তুলব কবিতায় প্রতিবাদী সুর!
থাকবে না আর দুঃখ কোনই
শ্রেণী ভেদাভেদ করবো দূর!
হব আমি বাংলার বীর সৈনিক
লড়াকু ভুমিকায় হব উন্মাদ!
রেহাই পাবে না দানবের দল
জালিমের বিরুদ্ধে করবো প্রতিবাদ!
ধরেছি যখন হাতে কলম
দুঃখীদের স্বার্থে কবিতা লিখব,
করেছি যখন প্রাণেে প্রতিজ্ঞা
মানব চেতনার জাগরণ ঘটাব।
বিরহ জীবনের আট প্রহরে
দেখতে পাই তোমার উপস্থিতি!
নিঃসঙ্গ রাতে নয়নে ভেসে
প্রতিক্ষণে যেন থাকো যথারীতি।
আজও এই দেশের মাটিতে
ক্ষুধিত দিন সাম্রাজ্য গড়ে!
মানব প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত হয়
সেই ভয়াবহ মৃত্যুর কবলে!
খড়ের তৈরি ছোট্ট কুটীরে
এখনও করি আমি বসবাস,
অঙ্গের প্রতিটি শিরায় শিরায়
দ্রুত ছড়াই বিষাক্ত দীর্ঘশ্বাস!
এই অবহেলিত সমাজের মাঝে
আমি হলাম দুঃখের কবি!
প্রত্যহ রাতে দুঃস্বপ্ন দেখি
ভয়ংকর মৃত্যুর সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি!


রচনাকালঃ- ২৬/০৭/২০১৭