ভারতবর্ষের বিহার, দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক! ভূতেরা নাকি বন্ধ ঘরে ঢুকে মেয়েদের মাথা থেকে চুল কেটে নিয়ে যাচ্ছে! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কবিতাটি রচিত।
------------------------------


ভূখণ্ডের বুকে দেখা দিলো
ধারাবাহিক এক নহলী সঙ্কট,
ত্রাসে দিন কাটছে অবলার
রাক্ষসের উপদ্রব বাড়ছে বিকট!


দানবের কাহিনী গল্পে থাকে
নিপটে নেই তার ভব,
এ-ছায়ামূর্তি আবার কেমন হবে
মানবরূপি সেজে আছে সব।


সমাজের বক্ষে পুরুষ নয়
পিশাচের সংকল্প হলো দাসী,
এমন কু'কর্মের কৌশল দেখে
তখন নীরবে পাই হাসি।


গভীর ক্ষণদায় সবার কুঠীতে
ঢুকে কাটছে মানবীর অলক!
হতাশ চেতন এ-কি হলো
যখন খুলছে আঁখির পলক!


নিজের চিত্র দেখে স্তম্ভিত
কোথায় গেল তার কেশ!
আকৃতি হলো নরের মত
শিরে আঁশ নেই অবশেষ।


বিরহ চিত্ত রোদনে মগ্ন
উড়ে গেল শীর্ষের চুল!
উদ্বেগের প্রকোপে বিভ্রান্ত হয়ে
খুঁজে পাই না কোন কূল!


লৌহ কপাট বন্ধ থাকলেও
কী করে ঢুকছে ওই ভূত,
ধরণ যেন ছায়ার মত
তাদের সব ষড়্যন্ত্র নিখুঁত।


রমণীর বদনে আশঙ্কার ছবি
করতে চায় অসুরকে বদ!
তন্ত্র মন্ত্র বিদ্যার সাথে
দূর করছে মহা বিপদ।


অদৃশ্য মহাকায় শ্লোগান দেয়
রাখবে না অঙ্গনার ঘটে কুন্তল!
চিকুর দিয়েই সাজিয়ে তুলবে
আগামী সবুজ ধরণীর ভূতল।


রচনাকালঃ- ০৩/০৮/২০১৭