মৃত্যু মানুষের এক স্বপ্নিল বাস্তবতা,
স্বপ্ন মানুষের কাছে বারে বারে আসে,
আর মৃত্যু আসে শুধু, শুধু একবার।
মানুষ যখন অবচেতনভাবে স্বপ্ন দেখে,
তখন শ্বাসক্রিয়া ও রক্তপ্রবাহ থাকে অব্যাহত,
অথচ মৃত্যু হলে, মানুষ হয়ে যায় চেতনাহীন,
শ্বাস ও রক্ত প্রবাহসহ সকল ক্রিয়া হয় স্তব্ধ।
মৃত্যু মানুষের অবশ্যম্ভাবী এক চির যাত্রা,
‘প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে’,
এ যে স্রষ্টার এক অলঙ্ঘনীয় বানী।
মানুষের দেহ সেতো ক্ষণিকের বাহন,
স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত রূহকে সংরক্ষণের
এক সর্বত্তম নিরাপদ অতুলনীয় প্রযুক্তি।
মৃত্যু মানুষের এক স্বপ্নিল বাস্তবতা,
স্বপ্ন মানুষের কাছে বারে বারে আসে,
আর মৃত্যু আসে শুধু, শুধু একবার।
মানুষ যখন বেঁচে থাকে, তখন রূহ
থাকে মানুষের দেহের আড়ালে, লুকায়িত,
মৃত্যুতে রূহের অস্তিত্বের ঘটে বহ্নিপ্রকাশ।
এতদিন মানুষ যা কিছু করেছে তা ছিল
মস্তিষ্ক থেকে নিঃসৃত ও রিপুর তারনা।
রূহের পরিচর্চা বেশীরভাগ মানুষের কর্মে
ছিল সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, চিন্তার অতীত।
মানুষ কখনো সুখ স্বপ্ন দেখে, আবার
কখনো দেখে দুঃখ, কষ্টে ভরা স্বপ্ন।
মানুষের মৃত্যুকালীন অবস্থাও ঠিক তেমনি,
কখনো দেহ থেকে রূহের বিচ্ছেদ ঘটে
কোমল, শান্ত, সুখকর, আবার কখনো
হয় খুবই রূঢ়, অশান্ত ও কষ্টের।
যে জন করেছে রূহের যথাযথ পরিচর্চা,
সে পাই কোমল, শান্ত, সুখকর বিচ্ছেদ।
আর যে জন রূহের পরিচর্চায় ছিল
অনীহা, অমনযোগী, সে জন পাই
খুবই রূঢ়, অশান্ত ও কষ্টের বিচ্ছেদ।
মৃত্যু মানুষের এক স্বপ্নিল বাস্তবতা,
স্বপ্ন মানুষের কাছে বারে বারে আসে,
আর মৃত্যু আসে শুধু, শুধু একবার।